জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেই: ইসি আলমগীর

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৬ পিএম

ফাইল ছবি
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা ইসির নেই বলে জানিয়েছেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. আলমগীর একথা জানান।
আগামী নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ফরমাল আলোচনা হয়নি, চিন্তাভাবনাও নেই। জাতীয় নির্বাচনে হয়তো অনেক কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে। এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব।
সব রাজনৈতিক দল অংশ নিলে নির্বাচন ভালো হয় জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে তারাই (রাজনৈতিক দলগুলো) শৃঙ্খলা রক্ষার একটি ভূমিকা নেয়। কারণ তারা জানেন যে, নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয় বা ভুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়ে ইসির ওপর কোনো চাপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। থাকবে কেন? আমরা প্রথম থেকেই বলছি যত খুশি বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে পারেন। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই।
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার প্রক্রিয়া সরকারের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চেয়ে আবেদন করলে সেটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। তারা সেটা পর্যালোচনা করে দেখেন যে আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কিনা, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কিনা। অনেক সময় তারা (পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদনকারী) মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, সেগুলো স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে থাকে। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে কোনো আপত্তি থাকে না।