‘অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারকে বিজয়ী করতে হবে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম
চরাঞ্চলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, কোনো চক্রান্ত বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে সমর্থন দেবেন না।এখন যে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা- তা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে বিজয়ী করতে হবে।
শনিবার কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট চরে এমফোরসি (মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দি চরস) হাট উদ্বোধন ও প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধনী-গরিবের বৈষম্য নিরসনে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।দেশের বর্তমান ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় চরাঞ্চলেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি সরকার যদি মানবদরদি হয়, গণতান্ত্রিক হয় তাহলে সেই সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে। বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র রূপ দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’।এখানে মুক্তি বলতে তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। আর এই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশের সুষম উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তিনি আমাকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে আপনাদের চরের উন্নয়ন আর কী করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে পাঠিয়েছেন।
এমফোরসি প্রকল্পের একজন উপকারভোগী অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমরা চরবাসী ধন্য এমফোরসির জন্য। আমাদের জীবনমান উন্নয়নে এমফোরসির অবদান বলে শেষ করা যাবে না। উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ, হাতে কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।এই চরে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। এটিই আমাদের একমাত্র হাট।দৈনন্দিন কেনাবেচার ক্ষেত্রে চরবাসীর জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুদীর্ঘ ২১ বছর স্বাধীনতাবিরোধী সরকার (বিএনপি-জামায়াত জোট) আপনাদের চরের উন্নয়নে কি পদক্ষেপ নিয়েছে? নেয়নি। বর্তমান সরকার মানুষের সংকট উপলব্ধি করে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে।
উপস্থিত জনসাধারণের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একসময় চরে কী ছিল? কি দুর্বিষহ অমানবিক জীবনাযাত্রা ছিল আপনাদের। আর আজ কী অবস্থা।একটি টিনের চালের মার্কেট পেয়ে আপনাদের যে হাসিমাখা মুখচ্ছবি দেখলাম সত্যিই অভিভূত। আপনাদের মুখে হাসি ফুটাতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।তাই কোনো চক্রান্ত বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে সমর্থন দেবেন না।এখন যে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে বিজয়ী করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, চরের মানুষ কষ্টসহিষ্ণু মানুষ। এই চর ভাঙে তো ওই চর গড়ে।এটাই নিত্যদিনের খেলা। চরে হাট হচ্ছে, নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এসব উন্নয়ন হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। চরের মানুষের ভাগ্য বদলে তিনি কাজ করছেন।তিনি শুধু কুড়িগ্রাম নয়, সমগ্র দেশ নিয়ে ভাবেন।
আরডিএ’র মহাপরিচালক মো. খুরশিদ আলম রেজভীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, চিলমারীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম পারভেজ সেলিম, এমফোরসির প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল মজিদসহ সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।