দেশে গ্যাসের প্রাথমিক মজুত ৪০.৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট, উত্তোলনযোগ্য ২৮.৭৬
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ইলিশায় মজুতসহ বর্তমানে গ্যাসের প্রাথমিক মজুত ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুত অবশিষ্ট রয়েছে। দৈনিক গড়ে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় এ গ্যাসে ১০ বছর চলবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য দেন।
মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন। বিগত অর্থবছরে (২০২১-২২) পল্লী বিদ্যুতের নিট ক্ষতি ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ সময় আয় হয়েছে ২৯ হাজার ১০৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ও ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৬২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন: হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১ হাজার ১৭৮ দশমিক ৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে সৌরশক্তি থেকে ৯৪৪ দশমিক ৮৮ মেগাওয়াট।
ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে এলএনজির ধারণক্ষমতা প্রতিটিতে ১ লাখ ৩৮ হাজার করে ২ লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার এবং প্রতিটির রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে মোট এক হাজার ঘনফুট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাতার ও ওমানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বছরে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে চাহিদা অনুযায়ী এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৩০ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এর আনুমানিক পরিমাণ ১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন টন। ২০২৩ সালে স্পট মার্কেট থেকে ২১ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার আনুমানিক পরিমাণ ১ দশমিক ৩১ মিলিয়ন টন।