Logo
Logo
×

অন্যান্য

দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: সংসদে খাদ্যমন্ত্রী

Icon

সংসদ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ১০:০৮ পিএম

দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: সংসদে খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী বোরো ২০১ দশমিক ৮৬ লাখ মেট্রিক টন, আউশ ৩০ দশমিক ০১ লাখ মেট্রিক টন ও ১৪৯ দশমিক ৫৮ লাখ মেট্রিক টন আমন উৎপাদিত হয়েছে। মোট ৩৮১ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ১০ দশমিক ৮৬ লাখ মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ৩৯২ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে। 

সোমবার জাতীয় সংসদে আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতিবেদন ২০২২ অনুযায়ী মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১ দশমিক ৮ গ্রাম।  এ হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয় ২১৭ দশমিক ৫৮ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের চেয়ে কম। 

তিনি আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্ববর্তী ধারা যদি বজায় থাকে, তবে দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ জুন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৬ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি হয়েছে। বেসরকারিভাবে ৪ দশমিক ২২ লাখ টন চাল এবং ২৭ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন গম অর্থাৎ মোট ৩১ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। ৪ জুন পর্যন্ত সরকারি খাদ্যশস্য মজুত আছে ১৭ দশমিক ৪৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৮৩ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ দশমিক ৬১ লাখ মেট্রিক টন গম।

দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই: দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

টিপু মুনশি বলেন, দেশে চিনি ও  পেঁয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫-২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮ দশমিক ১১ লাখ মেট্রিক টন (প্রকৃত উৎপাদন প্রায় ৩৭.৪৯ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ক্ষতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট থাকে ২৮ দশমিক ১১ লাখ মেট্রিক টন)। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগণ্য হওয়ায় প্রায় ৯৯ শতাংশ চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই ২০২২  থেকে ২৭ মে ২০২৩) পর্যন্ত চিনি আমদানির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ১৬ দশমিক ৬৭ লাখ মে. টন এবং পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৬৩ লাখ মে. টন। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য গত তিন মাসে প্রতি মে. টন প্রায় ১৬০ ডলার বেড়েছে। এছাড়া আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য গত এক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বেড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ার কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বেড়েছে বলে তিনি উল্লে­খ করেন।

ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের বিলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ: ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনী বিলে সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একাদশ বৈঠক থেকে তারা এ সুপারিশ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি। কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মো. আব্দুস শহীদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং কাজী নাবিল আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম