ভোট দিতে না পারলে চিৎকার করবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব: সিইসি
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএমে কোনো ভূত-প্রেত নেই, এটা সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি। সব বিচার বিশ্লেষণ করে কিছু পাওয়া যায়নি। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি নিজেই এর দায়ভার নেব। তিনি সময়মতো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রার্থীদের উদ্দেশে সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা সিসি টিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। কোনো ভোটার যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারেন, তাহলে আপনারা চিৎকার করবেন। আমরা সেখান থেকে বসে ব্যবস্থা নেব।
শনিবার নগরীর মেন্দিবাগে জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্য দেন- মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হানিফ কুটু, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহজাহান।
সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের বক্তব্য শুনেন।এ সময় প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনি প্রচারণা ও ভোটারদের ভোট প্রদানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধিকতার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে নির্বাচনে সব প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আগামী ২১ জুন প্রথমবারের মতো নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। ওই দিন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার নির্বাচিত করবেন ৫৭ সদস্যের পরবর্তী নগর পরিষদ। এর মধ্যে একজন মেয়র, ৪২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর।