‘সায়েদাবাদের বাস টার্মিনাল সরছে কাঁচপুরে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যানজট কমিয়ে ঢাকাকে আরও সচল ও গতিশীল করতে সায়েদাবাদ থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে কাঁচপুরে নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ডিএসসিসি নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, ঢাকা মহানগরীর ওপর থেকে চাপ কমাতে সায়েদাবাদ টার্মিনালে আর আন্তঃজেলার কোনো বাস ঢুকতে দেওয়া হবে না। তখন কাঁচপুর থেকে যাত্রীরা নগর পরিবহণে যাত্রা করবেন। তারই অংশ হিসেবে কাঁচপুরে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে বাইরে থেকে আসা বাস আর মূল ঢাকায় ঢুকতে পারবে না। এ ছাড়া ঢাকার ভেতরে যেসব বাস চলবে- তা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে রাখা হবে। এ জন্য এ বাস টার্মিনালের সার্বিক উন্নয়নে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর জলাবদ্ধতা দূর করাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। গত তিন বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে কাজ হয়েছে। যার সুফল গত বছর থেকেই নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। আগে বৃষ্টির সময় নগরীর ৭০ শতাংশ ডুবে যেত। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতা হচ্ছে না। এখন জলাবদ্ধতা নিয়ে নগরবাসীর কোনো অভিযোগ নেই।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধনের মাধ্যমে সব বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে দৈনিক ভিত্তিতে বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, নগরীতে পর্যটনের বিস্তার ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে সাতটি ঐতিহ্য বলয় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডিএসসিসি ইতোমধ্যে আত্মনির্ভরশীল অর্থাৎ নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। এখন আমাদের কোনো দেনা নেই। সব দেনা পরিশোধ করে দিয়েছি। আগামী বছর থেকে কাউন্সিলরদের জন্য ১ কোটির বদলে ২ কোটি টাকা এবং সংসদ সদস্যদের জন্য ২ কোটির বদলে ৪ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আমরা ডিএসসিসির ৩৪ একর জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও সাতটি খেলার মাঠ ও চারটি পার্কের উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে, যেখানে মেয়েদেরও ব্যায়াম করার সুযোগ থাকবে।