প্রতিটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে: স্পিকার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩, ১১:১১ পিএম
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত সামাজিক অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে প্রতিটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘সোশ্যাল প্রোগ্রেস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক ১১তম সাউথ এশিয়া অর্থনৈতিক পলিসি নেটওয়ার্ক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংক এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অব গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় বিকশিত করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জীবনমানের উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য ও দরিদ্র দূর করতে হবে। বৈষম্য নিরসনে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই দেশের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামারসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন। আইসিটি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে তরুণ প্রজন্ম ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে এমন একটি বিশ্ব তৈরি করি যা দরিদ্র, ক্ষুধা, যুদ্ধ এবং মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে পারে এবং মানবতার কল্যাণের জন্য বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জন করতে পারে।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পূর্ণ সুবিধা নিতে নারী-পুরুষ সবাইকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে। তাহলেই টেকসই সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।
কনফারেন্সে বিশ্বব্যাংক, বিআইজিডি ও বিভিন্ন এনজিওর দেশি ও বিদেশি অংশগ্রহণকারী, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন স্বাগত বক্তব্য এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সায়েক সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন।
এদিকে আজ স্পিকার তার নিজ নির্বাচনি এলাকা রংপুর-৬ আসনের পীরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রথিতযশা একজন বিজ্ঞানী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি হচ্ছেন ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া মেধার কারণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মূল্যায়িত হয়েছেন। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন নিরহংকারী ও বিনয়ী; এক কথায় অসাধারণ এক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সেই সঙ্গে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব।
এ সময় তিনি তরুণ প্রজন্মকে ড. ওয়াজেদের জীবন ও দর্শন অনুসরণ করার আহ্বানও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রাজা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম প্রমুখ।