সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, বই হচ্ছে জ্ঞানের আধার। আর বিজ্ঞানমনস্ক ও রুচিশীল পাঠক সৃষ্টিতে মানসম্পন্ন বইয়ের বিকল্প নেই। প্রতি বছর অমর একুশে বইমেলায় হাজার হাজার বই প্রকাশিত হয়। আর তারমধ্যে কয়টি বই মানসম্পন্ন সেটি পর্যালোচনার এখনই উপযুক্ত সময়। আর এক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব প্রকাশকদের। তাদের মানসম্পন্ন বই প্রকাশে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) রাজধানী শাখার ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০০৯-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ২৬ হাজারেরও অধিক সদস্যের একটি বড় সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংগঠনটির সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। 

প্রকাশকদের সব যৌক্তিক দাবি পূ্রণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ প্রকাশকদের বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান, আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বইমেলা আয়োজন, বই কেনার বাজেট বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী এসব বিষয়ে বাপুসকে লিখিত প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় বাপুসের রাজধানীর শাখার ৪১তম সাধারণ সভার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন। 

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল চৌধুরী, বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান হোসেন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের জেনারেল ম্যানেজার সিরাজুল মাওলা, বাপুসের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ওসমান গণি, সহ-সভাপতি শ্যামল পাল ও ওয়াহিদুজ্জামান সরকার জামাল এবং সাবেক সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) রাজধানী শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম লুৎফর রহমান। 

অনুষ্ঠানে কবি কামাল চৌধুরীকে বাপুসের উপদেষ্টা হিসাবে বরণ করে নেওয়া হয়।