স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ কর্নেল শহীদের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম
প্রায় ৪০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কর্নেল (অব.) শহীদ উদ্দিন খান এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন শিগগিরই আদালতে চার্জশিট জমা দেবেন বলে জানা গেছে। এর আগে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দুদকের তদন্তে মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
শহীদ উদ্দীন খান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খান এবং তার দুই মেয়ে শেওতাজ মুনাসী খান ও বারিশা পিনাজ খান। তাদের মধ্যে শহীদ উদ্দীন খান আয়কর ফাঁকির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারসহ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন শহীদ উদ্দীন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দুদকের তদন্তে কর্নেল মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ও ইস্টার্ন ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের তথ্য রয়েছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। কিন্তু শহীদ খানের পক্ষ থেকে কোনো সম্পদের হিসাব দুদকে দাখিল করা হয়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকার আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর শহীদ উদ্দীন খানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তখন থেকে আসামি শহীদ উদ্দীন পলাতক রয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, তিন অর্থবছরে ১৭ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ১০৭ টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে মামলা করেন সহকারী কর কমিশনার শেখ আলী হাসান। এরপর ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আসামি শহীদ উদ্দীনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।