কাদের সিদ্দিকীকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলল মহিলা পরিষদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩০ পিএম
নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দিয়ে সখীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদের মৃত্যুতে গার্ড অব অনার দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাধা দেওয়ার ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সখীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খানের মৃত্যুতে নারী ইউএনও ফারজানা আলমের মাধ্যমে গার্ড অব অনার দিতে গেলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বাধা দেন। সেসময় তিনি একজন পুরুষ কর্মকর্তাকে গার্ড অব অনার দেওয়ার প্রস্তাব করেন। মহিলা পরিষদ একজন প্রবীণ রাজনীতিকের এমন অগ্রহণযোগ্য, সংবিধান পরিপন্থি, নারীর মানবাধিকার পরিপন্থি বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছে। একজন রাজনীতিকের এ ধরনের আচরণ নারীর জন্য যেমন অবমাননাকর; ঠিক একইভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও জাতির জন্যও অপমানজনক। কেননা নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নারী ইউএনও বলে কোনো পদ নেই। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে নারী-পুরুষ বিভাজন সংবিধানবিরোধী। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পদাধিকার বলে যাদের ওপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার দেওয়ার মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তারা সেই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবেন এটাই প্রত্যাশিত। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর ক্ষমতায়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এই ধরনের যে কোনো কূটকৌশল ও বিভিন্ন অজুহাতকে প্রতিহত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছে।
সখীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খানের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেওয়ার সময় নারী ইউএনওকে বাধা দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। শনিবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের প্রস্তুতির সময় সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।