Logo
Logo
×

অন্যান্য

কাজে যোগ দিতে এখনো ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম

কাজে যোগ দিতে এখনো ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষে এখনো ঢাকায় আসছেন কর্মজীবী মানুষ। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোববার খুলছে। সরকারি চাকরিজীবীদের যারা ছুটি নিয়েছিলেন তারাও কাজে যোগ দেবেন রোববার। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রোববার খুলছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবারও ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের ভিড় ছিল। এদিন বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ঢাকামুখী যাত্রী উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

এদিকে ফিরতি যাত্রায় বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। কয়েকটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে বলেও জানান ওইসব ট্রেনের যাত্রীরা। যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, সরেজমিন শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, শত শত মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। লঞ্চগুলো বাড়তি যাত্রী নিয়ে পার হয়েছে। ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে, অনেকেই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতেও ফিরছেন। 

মাগুরা থেকে ঢাকা যাওয়া যাত্রী রাকিবুল হাসান বলেন, এবারের ঈদযাত্রা অনেক ভালো হয়েছে। ঘাটের কোথাও ভোগান্তি নেই। ঢাকা থেকে ঈদের আগে ভালোভাবেই বাড়ি এসেছিলাম। এখন আবার ঈদ শেষ করে বাড়ি থেকে ভালোভাবেই ঢাকায় ফিরছি। তিনি অভিযোগ করেন, বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট মালিক সমিতির ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন যুগান্তরকে বলেন, ঈদের পরে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ আজকে অনেকটা বেশি। তবে লঞ্চঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীরা কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পারছেন। বর্তমানে এ নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে বলে জানান।

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন। বাস ও সিএনজিতে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া কমিউটার ট্রেন, তিস্তা ট্রেনের আসনবিহীন যাত্রীদের থেকে ৪-৫শ’ টাকা আদায় করেন ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

শনিবার দেওয়ানগঞ্জ স্টেশন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন ও তিস্তা ট্রেনের পাওয়ার কারে ৫০০ টাকা করে নিয়ে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এসব ট্রেনের কর্মরত স্টুয়ার্ডরা এ টাকা নিয়ে যাত্রী উঠাচ্ছেন। এসব যাত্রী এসি বগিতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ট্রেনের সংযোগ স্থল বাথরুমের সামনে এবং খাবার গাড়ি টুল ও বালতিতে বসে যাচ্ছেন। 

এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ থেকে জামালপুর সিএনজি ভাড়া ৮০-৯০ টাকা হলেও এখন আদায় করা হচ্ছে ১৫০ টাকা। বাস ভাড়াও বেশি আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম