রোববার থেকে পরীক্ষায় বসছে ২০ লাখ শিক্ষার্থী, কড়া গোয়েন্দা নজরদারি
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫২ পিএম
![রোববার থেকে পরীক্ষায় বসছে ২০ লাখ শিক্ষার্থী, কড়া গোয়েন্দা নজরদারি](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/04/28/image-669400-1682700771.jpg)
ফাইল ছবি
সারা দেশে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ ছাত্রছাত্রী। এবার ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী বেশি পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।
গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রীই ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এবারও সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। তবে তাদের ১০০ নম্বরেই প্রশ্ন করা হবে। আর পরীক্ষার সময়ও থাকবে পূর্ণ ৩ ঘণ্টা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র মাঠপর্যায়ে চলে গেছে। শিক্ষার্থীরা অনুকূল পরিবেশে পরীক্ষা দেবে। তবে পরীক্ষাসংক্রান্ত যে কোনো অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর থাকবে প্রশাসন।
এবারের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৮ জন। বাকিরা অনিয়মিত। অনিয়মিতদের মধ্যে রয়েছে গত বছর এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা, মানোন্নয়ন আর প্রাইভেট পরীক্ষার্থী। এবারও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে। এসব বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন। আর কারিগরি বোর্ডে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৯৭ হাজার ৩৩৪ ও ছাত্রী ৩০ হাজার ৪৩৩ জন।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ মে। এরপর ২৪ মে থেকে ৩০ মে’র মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২৫ মে শেষ হবে। এ বোর্ডের ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত চলবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২৩ মে শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চলবে।
জানা গেছে, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিটিআরসিকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সন্দেহজনক লেনদেন নজরদারি রাখা হবে। পাশাপাশি যেসব গ্রুপ বা ব্যক্তি ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াবে তাদের আইডি শনাক্ত করে পুলিশের বিশেষ শাখা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হবে। প্রশ্ন ছাপানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। এমনকি প্রশ্ন সর্টিং ও বহনে জড়িত শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও নজরদারিতে থাকবেন।
অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে রাখা হবে। কোনো শিক্ষক মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচ যুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড সচিবকে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন।