জাফরুল্লাহর জানাজা-শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি ঘোষণা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেওয়া হবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে মরদেহ রাখা হবে।
এ সময় তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবেও সম্মান জানানো হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা হবে।
পর দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার প্রতিষ্ঠিত সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুমার নামাজের পর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা।
লাশ দাফন হবে না মরণোত্তর দেহদান করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেহদান করেছেন শোনা গেলেও কোনো আইনি কাগজপত্র নেই। এজন্য জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে আজ তার পরিবারের সদস্যরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে পরিবারেরর সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা ইলতাফ আজিজ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আবুল হোসেন প্রমুখ।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালসহ তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো। রাত থেকেই গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন তার আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সহকর্মী, হাসপাতাল-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফসহ তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
রাত ১টা ১৫ মিনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লাশ গোসলের জন্য মোহাম্মদপুর মারকাজুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ সংরক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।