বঙ্গবাজারে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা শুরু ‘মঙ্গল-বুধবার’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম
দেশের পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত বঙ্গবাজার আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। ঈদের আগে ভয়াল এই আগুনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় ঈদের আগে যেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সেখানে কিছুটা হলেও ব্যবসা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বঙ্গবাজারে আগামী বুধবার নাগাদ ব্যবসা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার বিকালে নগর ভবনে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমরা আশা করছি- আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা (ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা) সেখানে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
মেয়র বলেন, আমরা আগামীকাল (সোমবার) সকাল থেকে পূর্ণোদ্যমে পরিষ্কার কার্যক্রম আরম্ভ করব, যাতে করে আগামী ১-২ দিনের মধ্যে সেখানে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরই মাঝে তালিকা প্রণয়ন শুরু হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা যায়নি। আমরা আশা করছি আগামীকালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা সম্পন্ন হবে।
এ সময় তিনি বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সব মহল থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, এরই মাঝে ২ কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আমাদের করপোরেশন সভা আছে। সেখানে আমরাও সিদ্ধান্ত নেব। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব, যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারেন।
গত ৪ এপ্রিল সকাল সোয়া ৬টায় দেশের পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশের এনেক্সকো টাওয়ারসহ অন্তত ৭টি মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে ওইদিন দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় সম্পূর্ণ অগ্নিনির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।
সেখানে কাঠ-টিনের ঘরে তৈরি কয়েক হাজার দোকান ছিল। পাশে তিনটি দালানের দোকানও পুড়েছে সেই আগুনে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের মতো; যারা সবাই ঈদের আগে নতুন পণ্য তুলেছিলেন দোকানে, যার অধিকাংশই পুড়ে গেছে।