Logo
Logo
×

অন্যান্য

‘কাজুবাদাম ও কফি চাষে পালটে যাবে পাহাড়ের চেহারা’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন ও নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম

‘কাজুবাদাম ও কফি চাষে পালটে যাবে পাহাড়ের চেহারা’

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, পাহাড়ে কফি-কাজুবাদাম ছাড়াও গোলমরিচ, পেঁপে, আনারস, আম, ড্রাগন, মাল্টাসহ ৮-১০টি অর্থকরী ফসলের চাষ অনেক সম্ভাবনাময়। এসব ফল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পালটে যাবে। 

বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজুবাদাম ও কফির আবাদ-উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক আরও বলেন, এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাজুবাদাম ও কফির ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ লাখ চারা দেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের লক্ষণীয় উন্নয়ন হবে। একই সঙ্গে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। 

কৃষকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব ও কৃষক দরদি। কৃষি খাতকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ও কৃষকের কল্যাণে ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী সারের দাম এক টাকাও বৃদ্ধি করেননি, বরং কয়েক দফায় দাম কমিয়েছেন। সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ফলে দেশে ধানসহ সব ধরনের ফসলের ব্যাপক উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বিশ্ব মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই। 

মতবিনিময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, পাহাড়ে কাজুবাদাম ও কফি চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম এবং ১২৫ হেক্টর জমিতে কফি চাষ হতো। বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম এবং ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে কফি চাষ হচ্ছে।

জানা গেছে, সমতলের মতো অনেক ফসল এখন পাহাড়ে চাষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির ব্যাপক চাহিদা থাকায় এগুলো পাহাড়ে চাষ করা হচ্ছে। এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বাড়াতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম