যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের মৃত্যু হয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
দেশে যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসচেতনতা রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা যথাসময়ে চিকিৎসার আওতায় আসছেন না। ফলে ফুসফুস যন্ত্রে সংক্রমিত রোগটিতে প্রতিদিন প্রায় একশ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনাসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, আইসিডিডিআর,বি এবং ইউএসএআইডি সভার আয়োজন করে। ‘অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি)’ শীর্ষক আলোচনায় দেশের ১৫ সংসদ সদস্য অংশ নেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বত্তৃদ্ধতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এই রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ১৫ কোটি মানুষ মারা যায়। যেখানে দারিদ্র্য বেশি, সেখানে যক্ষ্মা বা টিবির হারও বেশি। আমাদের দেশে যক্ষ্মা শনাক্তের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। এখনো ১৯-২০ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রোগের চিকিৎসা এবং ওষুধসহ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে এলে ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো, অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত, এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।
অনুষ্ঠানে আরও বত্তৃদ্ধতা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইউএসআইডির ইনফেকশাস ডিজিজ টিম লিড ডা. শামীমা চৌধুরী, জাতীয় টিবি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার প্রমুখ।