Logo
Logo
×

অন্যান্য

অবৈধ মজুতদারি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:১৩ পিএম

অবৈধ মজুতদারি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই। অবৈধ মজুতদারির কারণে সংকট হচ্ছে। তাই বেআইনি মজুত বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মঙ্গলবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে পবিত্র মাহে রজমানে চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যে ব্যবসায়ী যতটুকু মজুত করতে পারবেন তার বাইরে মজুত করলে তা বেআইনি। যারা বেআইনিভাবে ধান, চাল ও আটার ব্যবসা করছেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় তিনি ধান ও চালের অবৈধ মজুতদারি কঠোরভাবে মনিটরিং করতে খাদ্য বিভাগের মাঠপ্রশাসনে কর্মরতদের নির্দেশ দেন।

খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় চাল ব্যবসায়ী, মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব), নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্স ছাড়া দেশে কেউ ধান ও চালের ব্যবসা করতে পারবেন না। ধান চালের ব্যবসা করতে হলে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স থাকতেই হবে। আড়তদারদেরও এই লাইসেন্স থাকতে হবে। প্রতি ১৫ দিন পরপর প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে কতটুকু ধান-চাল ক্রয় করেছেন আর কতটুকু বিক্রি করেছেন তার রিটার্ন খাদ্য বিভাগে দাখিল করতে হবে। কোনো ধরনের ধানাই-পানাই চলবে না।

তিনি বলেন, চালের মূল্য যখন বাড়ে তখন এক সঙ্গে কেজিতে ৫-৬ টাকা বাড়ে। আর যখন কমে তখন এক টাকা করে কশিয়ে কশিয়ে কমে। চালকল মালিকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কোনো লোকসান নেই। কারণ আপনারা বছরে যে পরিমাণ ধান ছাঁটাই করেন তার ১ শতাংশ চালও সরকার ক্রয় করে না। অর্থাৎ আপনারা ৯৯ ভাগ চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। ধান থেকে তুষ, কুঁড়া, ভাঙাচালসহ নানা ধরনের উপাদান বের হয়। এগুলো পশু ও মাছের খাদ্য হিসাবে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন। আপনাদের লোকসান কোথায় আমাকে দেখান?

কৃত্রিম সংকট ঠেকাতেই বিদেশ থেকে চাল আমদানি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডলারের মূল্য বেশি হওয়ায় আপনারা আমদানি করেননি। আমাদের কাছে সব কিছুর তথ্য আছে। বিশ্বখাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি মজুত বাড়ানো হয়েছে। দেশের নিম্নআয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) চালু করেছে সরকার।

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে উল্লে­খ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন ধান ও চাল উদ্বৃত্ত হলে আমদানি করেন কেন? জবাব হলো, আমদানির পথ খোলা থাকলে মজুতদাররা কারসাজি করতে পারে না।’

সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য সচিব বলেন, সরকার গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ চাল ক্রয় করবে। বিদেশ থেকে আমদানিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখতে এ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করছে সরকার। 

সভায় ব্যবসায়ীরা বিদদ্যুৎবিল, ট্রাক ভাড়া ও শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে জানিয়ে বলেন, ‘আগামী দিনে ধান চালের মূল্য নির্ধারণের সময় বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। আমদানি বন্ধ করে দেশের বাজার থেকে চাল কিনতে হবে।’ 

একই সঙ্গে তারা ধান ও চালের সরকারি মূল্য কমানোর প্রস্তাব করেন। তবে ধান ও চালের সরকারি মূল্য কমানোর প্রস্তাব খাদ্যমন্ত্রী সরাসরি নাকোচ করে দেন। পরিস্থিতি বুঝে সরকার আমদানি খোলা রাখা কিংবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম