
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
যে প্রতিশ্রুতি দিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি

সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম

আরও পড়ুন
রাষ্ট্রপতি হিসেবে আর ৩৯ দিন দায়িত্বে আছেন মো. আবদুল হামিদ। দেশের সর্বোচ্চ এই পদ থেকে অবসরের পর কোনো পদে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেছেন, এই পদের একটা মর্যাদা সবার রাখা উচিত। আমি বিশ্বাস করি দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে যত লোভনীয় কিছু হোক না কেন, সেখানে কোনো অবস্থাতেই যাওয়া ঠিক নয়। এটা করা হলে তা দেশের মানুষকে অপমান করা হবে। বেইজ্জতি করা হবে। বাংলাদেশের মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজে অবসরের পর যাবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মানে বঙ্গভবনে ডিনারের আয়োজনে অংশ নেন তিনি। এ সময় তিনি অবসরের পর নিকুঞ্জের বাড়িতে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে সেখানে সবাইকে বেড়াতে যাওয়ারও আমন্ত্রণ জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, রাষ্ট্রপতি পদের একটা মর্যাদা সবার রাখা উচিত। এখান থেকে বেরিয়ে আর কিছু তার করা ঠিক নয়। আমি বিশ্বাস করি, দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর যত লোভনীয় কিছু, সেখানে তার কোনো অবস্থাতেও যাওয়া ঠিক নয়। এটা করা হলে তা দেশের মানুষকে অপমান করা হবে। বেইজ্জতি করা হবে।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের দেশে এরকমও আছে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে দেখা গেল আবার মন্ত্রী হয়েছেন। আবার রাষ্ট্রপতি থেকে মন্ত্রী হওয়ার পর শুধু এমপিগিরিও করছেন। আবার এমপি নির্বাচনে নমিশেন না পেয়ে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানে দাঁড়ান। হায়াত থাকলে হয়তো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও দাঁড়িয়ে যেত। এটা হওয়া উচিত নয়। আমি যে অবস্থাতে চলি না কেন, এ দেশের মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ন হোক এমন কোনো কাজে যাব না।
সম্প্রতি প্রকাশিত আত্মজীবনী বইয়ে স্ত্রীকে নিয়ে লেখা একটি চ্যাপ্টারের প্রসঙ্গ টানেন রাষ্ট্রপতি। বইয়ের ওই অংশটি পুরোপুরি সত্য নয় বলেছিলেন তার স্ত্রী। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বইয়ে আমার বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে যা লিখেছি, তা সব ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন স্ত্রী। আর তিনি বলেছেন আমি কিছু কথা লিখিনি। সমস্যা হচ্ছে যে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হলে এক রকম হয়। দেড়-দুই বছর থেকে জানাশোনা থাকলে যা হয়। সেখানে তো সমস্যা একটু থাকবে। কারণ তার দৃষ্টিভঙ্গি আমার দৃষ্টিভঙ্গি, তার কথা ও লেখায় একটু পার্থক্য তো থাকবেই। তবে আমি বলতে পারি আমি যা লিখেছি, ঠিক লিখেছি। তার হয়তো পছন্দ না-ও হতে পারে। সুতরাং সঠিক করে আর লেখার কিছু নেই। আমি যা লিখেছি সত্য লিখেছি। তার কাছে আমার এই কথাগুলো ভালো লাগেনি।
অবসর সময়ে সাংবাদিকদের তার বাসায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, মাঝেমধ্যে কেউ এলে আমার সময়টা ভালো কাটবে। আর এখনকার মতো কথন তো এই আসা-যাওয়ার বাধাটা থাকবে না। একেবারে ফ্রি স্টাইল হয়ে যাবে। আমিও আপনাদের মতো হয়ে যাব। সমস্যা থাকবে না।
এ সময় রাষ্ট্রপতির বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও কালবেলার উপদেষ্টা সম্পাদক আবেদ খান, যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, চ্যানেল আইর শাইখ সিরাজ, একাত্তর টেলিভিশনের মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এটিএন বাংলার জ ই মামুন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের আশিষ সৈকত, নাফিজাদৌলা প্রমুখ।