যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশ
কনস্টেবল পদে চাকরি নিয়ে যে অনুরোধ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের
ইকবাল হাসান ফরিদ
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে কোনো ধরনের লেনদেন কিংবা প্রলোভনের ফাঁদে পা না দিতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। কেউ যদি টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়, তবে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানা কিংবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দৈনিক যুগান্তরের শেষ পৃষ্ঠায় ‘'সারাদেশে সক্রিয় সঙ্ঘবদ্ধ চক্র: পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ১২ লাখ টাকার ফাঁদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে তা পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে নির্দেশনা জারির আদেশ দেন। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
‘কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়ার প্রলোভনে প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা দেবেন না’ শিরোনামে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষা আধুনিকায়ন করে নিয়োগ পদ্ধতি অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ৭টি ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ সংক্রান্তে বিস্তারিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যেতে পারে। কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীকে তার নিজ যোগ্যতায় প্রতিটি ধাপে উত্তীর্ণ হতে হয়। এক্ষেত্রে নিয়োগ পদ্ধতির কোনো ধাপে কোনো প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা বা কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। একজন প্রার্থী নিজ যোগ্যতায় শুধুমাত্র সরকারি ফি প্রদানের মাধ্যমে চাকরি পেয়ে থাকেন। প্রতারকচক্র কর্তৃক কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন কিংবা ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
‘কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো ধরনের প্রতারণার কৌশল অবলম্বনের খবর পেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানা কিংবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা মাঠে রয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ ওই চক্রের ৫ সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।