চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ তিন দফা দাবিতে ডাকা কর্মবিরতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ আছে। সকাল থেকে বহির্বিভাগের সামনে ভিড় দেখা যায় রোগীদের। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা রেখেছেন চিকিৎসকরা। সেখানে আসা রোগীদের দেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ৭০ জন চিকিৎসক রোগী দেখেন এখানে।
এদিকে চলমান কর্মসূচি নিয়ে হাসপাতালে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাতে তিন দফায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে রাতেই কাজ বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তখন থেকেই সেখানে চিকিৎসা সেবার অচলাবস্থা শুরু।
এরপর রোববার ঢাকা মেডিক্যালের অন্য চিকিৎসকরাও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতিতে সংহতি জানান। এ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসার সব বিভাগে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি হয় চরম চিকিৎসা সংকট।
চিকিৎসকদের স্পষ্ট দাবি হল হামলাকারীদের আটক ও শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং সারাদেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দাবি নিয়ে চিকিৎসকরা সরব হলেও সেসব মেনে নেওয়ার আশ্বাস না মেলায় দুপুরে সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। এসব শর্ত না মানা হলে সোমবার সন্ধ্যা থেকে শাটডাউন কর্মসূচিতে ফিরবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন চিকিৎসকরা। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতিতে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের সেবা শুরু হয়।