
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৯ এএম
গাজাকে আরও সংকুচিত ও বিচ্ছিন্ন করার হুমকি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাকে আরও সংকুচিত ও বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
কাটজ তার এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেছেন, ‘গাজা আরও ছোট এবং আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং এর আরও বেশি সংখ্যক বাসিন্দাকে যুদ্ধাঞ্চল থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হবে।’
তিনি বলেন, ইহুদিদের পাসওভার ছুটির সময় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মোরাগ অক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। এটি গাজাজুড়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রসারিত একটি ১২ কিলোমিটার করিডোর যা খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরগুলোকে পৃথক করে।
তিনি আরও লেখেন, ‘ফিলাডেলফি করিডোর এবং মোরাগের মধ্যবর্তী এলাকাটি এখন ‘ইসরাইলি নিরাপত্তা অঞ্চলের অংশে পরিণত হয়েছে।’
কাটজ বলেন, ‘ইসরাইল উত্তর গাজার বাফার জোনও প্রসারিত করেছে, কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং ভূখণ্ডের কিছু অংশকে ইসরাইলি নিরাপত্তা অঞ্চলে রূপান্তর করেছে।’
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে জিম্মিদের মুক্তির চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস ইসরাইলের শর্ত প্রত্যাখ্যান না করে ততক্ষণ ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ক্রমবর্ধমান অভিযান চালিয়ে যাবে।
সম্প্রতি ইসরাইলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া, বেইত হানুন এবং জাবালিয়া অঞ্চলের পাশাপাশি পুরো রাফাহ শহর এবং খান ইউনিসের কিছু অংশে জোরপূর্বক উচ্ছেদের আদেশ জারি করেছে। শনিবার, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রাফাহ ঘেরাও সম্পূর্ণ করেছে এবং এটিকে খান ইউনিস থেকে আলাদা করে মোরাগ অক্ষ স্থাপন করেছে।
২০২৩ সাল থেকে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯৪৪ জনে পৌঁছেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। তবে মার্চের মাঝামাঝির দিকে এসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে দখলদার বাহিনী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ১১৫ জন আহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি