
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ এএম
‘ভূ-গর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি’ উন্মোচন করে ইরানের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) তাদের অ্যারোস্পেস ডিভিশনের অধীনে একটি নতুন ‘ভূ-গর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি’ উন্মোচন করেছে। যা তাদের শতাধিক গোপন সামরিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা মেহের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূ-গর্ভস্থ এই ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ।
উন্নত প্রযুক্তির ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ
ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল এ সামরিক স্থাপনাটিতে কেইবার শেকান, শহিদ হাজ কাসেম, কাদর-এইচ, সিজ্জিল এবং এমাদ-সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ রয়েছে।
কেইবার শেকান-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের থাড (THAAD) মিসাইল সিস্টেমকে পরাজিত করার সক্ষমতা সম্পন্ন বলে দাবি করা হচ্ছে। কেইবার শেকান-২ ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও উন্নত করা হয়েছে, যাতে এটি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে যেতে পারে।
কাদর-এইচ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১,৭০০ কিলোমিটার (১,০৫৬ মাইল), যা মাঝারি পাল্লার একটি কার্যকর ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
শহিদ হাজ কাসেম মিসাইলটি মূলত ইরানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নামে নামকরণ করা হয়েছে। যিনি ২০২০ সালে বাগদাদে এক মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন।
ইরানের হুঁশিয়ারি
আইআরজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ভাষ্য, ‘ইরানের লৌহ মুষ্টি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী’।
জেনারেল বাকেরি বলেন, ‘যে সমস্ত প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা আমাদের প্রয়োজন, তার সবকিছুই আমরা অর্জন করেছি। এখন আমরা ‘ট্রু প্রমিজ-২’ অভিযানের চেয়ে দশগুণ শক্তিশালী’।
গত বছর ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-১’ এবং ‘ট্রু প্রমিজ-২’ পরিচালনা করেছিল। যা ছিল ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা। এই অভিযানে শত শত ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। যা ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনাগুলোতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানে।
জেনারেল বাকেরি আরও বলেন, ‘শত্রুরা আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির গতি অনুসরণ করতে পারবে না। আমরা শক্তি বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের পথে অবিচল রয়েছি’।
শক্তিশালী প্রতিরক্ষা কাঠামো ও ভবিষ্যৎ কৌশল
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই নতুন ‘মিসাইল মেগাসিটি’ কৌশলগত দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘটনাপ্রবাহ: ইরান ইসরাইল সংঘাত
আরও পড়ুন