‘হামাস ইসরাইলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল’, এটি ‘মিথ্যা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম

১৮ মার্চের হামলায় গাজার অনেক ভবন ধসে গেছে। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
গাজায় ইসরাইলের হামলার আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস দেশটিতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইসরাইল এই আগ্রাসী ও রক্তাক্ত হামলাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এ নাটক সাজিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া এক টেলিগ্রামবার্তায় বলেছেন, অবৈধ দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে ফের গণহত্যা শুরু করেছে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, এতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৪ জনে। আরও ৫৬২ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর থেকে এটিই গাজায় ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা। হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরাইল অবরুদ্ধ ও অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ‘প্রতারণামূলক’ হামলা চালিয়েছে।
টানা ১৫ মাস হামাস ইসরাইল সংঘাত চলার পর গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হয়। এর মেয়াদ ছিল ৪২ দিন। মোট তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপ শুরুর ১৬ দিনের মাথায়ই দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইল তা করেনি। দেশটি প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর দিকে জোর দিতে থাকে। তবে হামাস তা মানতে নারাজ হয়।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে টানা ১৫ মাসের যুদ্ধে গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলায় অন্তত ৪৮ হাজার ৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১২ হাজার ৪১ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি জানিয়ে বলেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।