হিজবুল্লাহ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল সম্পর্কে যা জানা গেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১ এএম
গাজা যুদ্ধের মধ্যেই লেবাননে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে ইসরাইল। জুনে গোষ্ঠীটির শীর্ষ কমান্ডার তালেব আবদুল্লাহকে হত্যা করে এ অভিযান শুরু। এরপর জুলাইয়ে ফুয়াদ শুকর এবং মুহাম্মদ নিমাহ নাসেরকে হত্যা করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
এবার পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে মধ্যপ্রাচ্য যখন উত্তাল, ঠিক সে সময় আরও এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে খুন করল ইসরাইল। শুক্রবার ইসরাইল জানিয়েছে, তারা বৈরুতে এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলকে হত্যা করেছে।
ইসরাইলের দাবি, নিহত আকিল হিজবুল্লাহর অভিজাত ‘রাদওয়ান বাহিনীর’ জ্যেষ্ঠ নেতা ছিলেন। হামলার সময় তিনি একটি বৈঠকে ছিলেন। ওই সময়ে বৈরুতের এক গোপন আস্তানায় হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের বৈঠকটি চলছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সামরিক শাখা শীর্ষপ্রধান ফুয়াদ শুকরের পর আকিলকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ধরা হতো। ১৯৮০–এর দশকে হিজবুল্লাহতে যোগ দেন আকিল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, লেবাননের বাইরে অভিযান পরিচালনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন আকিল। হিজবুল্লাহর অন্য জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের মতো আকিল প্রকাশ্যে আসতেন না। জনসমক্ষে উপস্থিতি, কিংবা কোনো বিবৃতিও দিতেন না।
আকিলকে হত্যার মিশন ছিল যুক্তরাষ্ট্রেরও। মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, আকিল ‘তাহসিন’ নামেও পরিচিত। ১৯৮৩ সালের এপ্রিলে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোমা হামলায় তার ভূমিকা রয়েছে। এ হামলায় অন্তত ৬৩ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পস ব্যারাকে হামলায়ও আকিলের ভূমিকা ছিল মনে করা হয়। ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৪১ মার্কিন সেনা। মধ্যপ্রাচ্য একসঙ্গে এতো সেনা যুক্তরাষ্ট্র খুব কম হারিয়েছে। এসব হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আকিলকে খুঁজছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ‘স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এদিকে ইসরাইলের গণমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে আহত হলেও প্রাণে বেঁচেছিলেন আকিল। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। আর ওইদিনই ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হলেন তিনি।