Logo
Logo
×

মধ্যপ্রাচ্য

প্রতি সেকেন্ডে ২১ টন খাদ্য নষ্ট হয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২১ পিএম

প্রতি সেকেন্ডে ২১ টন খাদ্য নষ্ট হয়

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুসারে বিশ্বব্যাপী বছরে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন টন খাদ্য উৎপাদিত হয়। তবুও বিশ্বের প্রতি নয়জনের মধ্যে একজন ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছে। কারণ বিশ্বজুড়ে প্রতি সেকেন্ডে উত্পাদিত ১২৭ টন খাদ্যের ২১ টন নষ্ট হয়।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক শস্য চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট সমাধানে সাহায্য করছে; যা আন্তর্জাতিক বাজারে ইউক্রেনীয় শস্যের আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুগান্তকারী চুক্তি এটি; যা ইউক্রেনীয় শস্য কৃষ্ণসাগর দিয়ে নিরাপদে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী দাম কমিয়ে এনে খাদ্য সংকট থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়।

এরদোগান বলেন, জাতিসংঘের উদ্যোগে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি শুরু করা হয়েছে। আমরা বিশ্ব বাজারে ৩৩ মিলিয়ন টন শস্য পাঠানো নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা সংকট প্রতিরোধের চেষ্টা করেছি।

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষুধার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল বিশেষ করে আফ্রিকায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

এরদোগান বলেন, উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে বিশ্বের ‘সবচেয়ে উদার’ দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক একটি। এটি খাদ্য ও পানির সংকটসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিতে দ্বিধা করে না।

তিনি বলেন, সরকারি হিসাবে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি; যা পরবর্তী ২১ বছরে আমাদের দেশের জল এবং খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে।

এরদোগান বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ‘২০৩০ সালের জিরো হাঙ্গার’ নীতি। মানবিকতা ধীরে ধীরে এ নীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, খাবার নষ্টের কারণে পানির উৎসগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এরদোগান সবাইকে ‘শূন্য খাদ্য নষ্ট’ লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, ‘আগামীকাল নয় আসুন আজ ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস থেকে কাজ শুরু করি। আসুন আমরা খাদ্যকে শ্রদ্ধা করি এবং খাদ্যের অপচয় বন্ধ করি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম