প্রত্যেক ব্যক্তিরই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত। ঘুম যদি ঠিকভাবে না হয়, আপনার শরীর খারাপ হতে থাকবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা না ঘুমালে পরের দিন কাজের ক্ষমতা থাকে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম প্রত্যেকটা মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজন। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা প্রচুর পরিশ্রম করার পরও ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। রাতে বিছানায় গেলেও ঘুম যেন তাদের আসতেই চায় না। আর ঘুম না হলেও স্বাস্থ্যের কিন্তু ভীষণ ক্ষতি হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই কোনো কাজে আপনি ফোকাস রাখতে পারবেন না। কোনো কাজেরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কর্মক্ষমতা কমতে থাকবে। দৈনন্দিন জীবনে কি করছেন, তা মনে রাখতে পারবেন না। ভালো কোনো চিন্তা আপনার মাথায় আসবে না। রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা কমে আসবে। যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান, তাহলে শরীর থেকে প্রোটিন কমতে থাকে। রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা ক্রমেই কমতে থাকে। যে কারণে সর্দি ও ভাইরাসজনিত সমস্যা আপনার হতেই থাকবে। আপনাকে দেখলে খুব অসুস্থ লাগবে। তাই ভালোভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
যদি আপনি প্রত্যেক দিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা না ঘুমান, তাহলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের শিকার হবেন আপনি। সেই সঙ্গে আপনার হাত-পা কাঁপতে থাকবে। হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে থাকবে। তাই রোজ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। না হলে নিজের ক্ষতি নিজেই করবেন। মানসিক চাপ বাড়তে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ব্যক্তি নিত্যদিন ভালোভাবে ঘুমান না, তাদের ঘুমের ঘাটতি হতে পারে। তার মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। আর যে কারণে তার বিরক্তি লাগে, মেজাজ তার ভালো থাকে না। প্রত্যেকটি কাজে তারা জোর পায় না। সকলের সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে থাকে।
ভালোভাবে ঘুমান পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে শারীরিক ও মানসিকভাবেই মানুষ অসুস্থ হতে থাকে। তা ছাড়া আপনাকে নিয়মিত শরীরের যত্ন নিতে হবে। তাই আপনি ক্যাফেইনজাতীয় খাবার একদমই বেশি খাবেন না। রাতে ঘুমাবার আগে কখনই চা বা কফি খাবেন না। পারলে হলুদ দিয়ে গরম দুধ খেতে পারেন। রাতে গরম দুধ খেলে খুব ভালো ঘুম হয়।