মানুষের শরীর মূলত পেশির ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এ পেশির সুরক্ষা নিশ্চিত করে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার।
ভিটামিন ডি চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন- যার মধ্যে আছে ভিটামিন ডি১, ডি২ ও ডি৩। এটি হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করতে পারে।
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিনের জোগান থাকা জরুরি। শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমছে কিনা, তা বুঝবেন কী করে?
একেবারেই রোদের সংস্পর্শে না আসলে কিংবা খুব কম আসলে ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনেকেই জানেন না, কোন কোন খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে।
যাদের দুধজাতীয় খাবারে এলার্জি বা যারা আমিষ জাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসেন না, তারাও এ ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগার ঝুঁকিতে আছেন।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রিকেটস রোগের কারণ হতে পারে। এটি এমন একটি রোগ, যেখানে হাড়ের টিস্যু সঠিকভাবে খনিজকরণ করে না, যা নরম হাড় এবং হাড়ের বিকৃতির জন্য দায়ী। এছাড়া আরও কিছু লক্ষণ দেখা দেয় পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এর অভাবে। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
ক্লান্তবোধ করা ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার লক্ষণ। শরীরের এনার্জি লেভেল কমতে শুরু করে এই ভিটামিনের অভাবে, ফলে অল্প কাজ করেও লাগতে পারে ক্লান্ত।
১. ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। প্রায়ই সর্দি-কাশি বা ফ্লুতে ভোগার জন্য দায়ী হতে পারে ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রা।
২. ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়, জয়েন্ট, পিঠ ও স্নায়ুতে ব্যথা হতে পারে।
৩. ভিটামিন ডি-এর অভাবের সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক রয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই বিষণ্ন লাগলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা করে নিন।
৪. অত্যধিক চুল পড়া হতে পারে ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার লক্ষণ।
৫. অস্ত্রোপচার বা আঘাতের পরে ধীরে ধীরে ক্ষত নিরাময় হওয়া ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ হতে পারে।
৬. বাড়তি ওজনের কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি।