রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ অ্যাওয়ার্ড পেলেন যুগান্তরের জাহিদ হাসান
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম
![রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ অ্যাওয়ার্ড পেলেন যুগান্তরের জাহিদ হাসান](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/12/20/image-753507-1703079589.jpg)
প্রজনন স্বাস্থ্যের অগ্রগতি, নারীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি প্রসঙ্গে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখায় রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান। ‘সংকোচেই ব্যাহত কিশোরদের কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামে প্রতিবেদনের জন্য প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।
বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ সার্ভিস ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন প্রোগ্রাম (আরএইচস্টেপ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জাহিদ হাসান ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মরত আরও ৬ সাংবাদিককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন- এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিবেদক মো. শরফুল আলম, যমুনা টিভির শেখ মহিউদ্দিন মধু, আমাদের সময়ের মো. আজাদুল ইসলাম (আদনান), দৈনিক কালবেলার মাহমুদুল হাসান, ঢাকা পোষ্টের তানভীরুল ইসলাম ও ঢাকা মেইলের মাহফুজ উল্লাহ হিমু।
যুগান্তরের প্রকাশিত জাহিদ হাসানের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২১ শতাংশ। কিন্তু তাদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধা আছে। মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে যেমন সচেতনতার অভাব, তেমনি সমাজে ব্যাপক মাত্রায় এ বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে।
কিশোর-কিশোরীদের সেবায় সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে সারা দেশে ১২৫৩টি অ্যাডলোসেন্ট কর্নার তথা কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু এসব কর্নারে কিশোরীদের উপস্থিতি কমবেশি থাকলেও কিশোরদের ক্ষেত্রে তা একেবারেই নগণ্য। মূলত স্যোশাল ট্যাবুসহ নানা কারণে কিশোরেরা সেবা নিতে আসে না। মনোদৈহিক সমস্যা প্রকাশ করতে চায় না। এসব সেবা-পরামর্শ গ্রহণে তাদের উৎসাহী করার উদ্যোগও কম।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী, আরএইচস্টেপ এর ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মাহবুবুল হক, ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) ডা. এলভিনা মোস্তারীসহ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।