‘দ্যা এপিক ফল অব ডিক্টেটর শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৮ এএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ও পলায়ন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মানের (তুষার) গবেষণামূলক বই ‘দ্যা এপিক ফল অব ডিক্টেটর শেখ হাসিনা’ (The Epic Fall of Dictator Sheikh Hasina) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকালে অমর একুশে গ্রন্থমেলার মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, এন. ইসলাম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. জাফর আলী খান, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল মিকাইল হোসেন, ব্যবসায়ী রায়হান চৌধুরী, বইটির লেখক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষারসহ অনেকে। আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এমাজনের কিন্ডেল প্রকাশনী থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বরে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে গ্রিপার মার্ক পাবলিকেশন অমর একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে।
‘অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দ্যা এপিক ফল অব ডিক্টেটর শেখ হাসিনা’ একটি বাস্তবধর্মী গবেষণামূলক বই। বইটিতে জুলাই-আগস্টের উত্থাল দিনের ঘটনা স্থান পেয়েছে। এই বইয়ের ব্যতিক্রম দিক হলো ঘটনার সাথে সাথে আইনি দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি জুলাই বিপ্লবের একটি দলিল হিসেবে কাজ করবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম বইটি পড়ে জুলই বিপ্লবের অগ্নিঝরা দিনগুলোর কথা জানতে পারবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম গণহত্যার ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের জুলাই -আগস্টে। বইটিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জীবনের উত্থান-পতন, গণতন্ত্রের কথিত মানসকন্যা থেকে স্বৈরাচার হয়ে উঠা ও তার পতন-পলায়ন নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। বক্তারা বলেন, গণহত্যার বিচার এখন সময়ের দাবি। গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করলে জুলাই বিপ্লবে শহিদদের আত্মা কাউকে ক্ষমা করবে না।