প্রতীকী ছবি
ফ্যানের বাতাসে দেয়ালে ক্যালেন্ডারটা ফর ফর করে উড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার, নভেম্বরের সতেরো তারিখ। ক্যালেন্ডারে চোখ পড়ে মেয়েটির।
সন্ধ্যা থেকে সে কেমন একটা চাপা অস্থিরতায় ভুগছিল। গত কয়েক দিন যাবত এই একই অস্থিরতা তার। একটা ফোন আসার কথা। ফোন করবেন একজন আগন্তুক। আগন্তুকের সাথে আলাপ পরিচয় হবার কথা। আর তাই গত তিনদিন ধরে মেয়েটি সেই অচেনা আবার একভাবে চেনা আগন্তুকের ফোনের জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়েটির নাম স্বর্ণা । বয়স ছাব্বিশের কাছাকাছি। মিষ্টি চেহারা , চুপচাপ স্বভাব । হাসলে মনে হয় পুকুরের শান্ত শীতল জলে কেউ কিছু ছুঁড়ে দিয়েছে । একটা মৃদু তরঙ্গ চারদিক ছড়িয়ে পড়ে ।
দুই কামরার একটি ভাড়া বাসায় মা -মেয়ে মিলে থাকে স্বর্ণারা । নিম্ন মধ্যবিত্তের দিনযাপন। আচমকা স্ট্রোকে বাবা মারা গিয়েছেন বছর চারেক আগেই । সংসারের অবস্থা কোন রকম। আর কোন ভাই- বোন নেই স্বর্ণার ।
ডিভোর্স হয়ে যাবার পর থেকে আপন বলতে তার মা ছাড়া আর কেউ নেই। আসিফের সাথে ছয়মাসের বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল স্বর্ণাকে ।
কোন উপায় ছিল না। আসিফের পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনি স্বর্ণা । শ্বশুরের লক্ষ টাকার দাবী মিটানোর মত আর্থিক অবস্থা স্বর্ণাদের ছিল না। তার উপরে শাশুড়ির নানান উপঢৌকনের বায়না তো আছেই ।
বাবার মৃত্যুর পর মা কিছু স্টুডেন্ট বাসায় পড়াতে শুরু করে । সাথে বাবার অফিস থেকে পাওয়া অল্প কিছু টাকা , এ দিয়েই কোনরকম চলে যাচ্ছিল মা এবং স্বর্ণার।
তখন মাত্র অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছিল স্বর্ণা । সেই যৌতুকের টাকার খোঁটা স্বর্ণার বুকে প্রতিদিন কয়েকবেলা করে কাঁটার মত বিঁধতে শুরু করেছিল। সেসব দিন মনে করলে এখনো অপমানে নীল হয়ে যায় স্বর্ণা । তাছাড়া আসিফের ছোট ভাই বাহারের অশ্লীল ইঙ্গিত প্রতিনিয়ত মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দিয়েছে স্বর্ণাকে । এমন মানসিক দীনতার কাছে হার মেনে নিজের কাছে হেরে যেতে পারে না স্বর্ণা । আত্মমর্যাদা বিকিয়ে কার জন্য কোথায় থেকে যেতো সে ?
আসিফ বাবা -মায়ের কথামত স্বর্ণাকে বিয়ে করে নিলেও নীলাকে ভুলতে পারেনি এক মুহূর্তও । লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করা , দেখা করা চলছিল সবসময়ই । স্বর্ণা সমঝদার মেয়ে । কেন অন্যের জীবনে তৃতীয় হয়ে থাকবে ? আসিফ না করল না । আপোষেই ডিভোর্স নিল।
স্বর্ণা একদিন বিকেলে আসিফ কলেজ থেকে ফিরে আসার আগেই বাসা ছেড়ে চলে এলো ।
নীরবতা কথা বলায়, নির্লিপ্ততায় ভাষা হারাই , ভালো থেকো – চিরকুটটি আসিফকে নাড়া দেয় না। বাবা টাকার কথা বলছে , বাহার আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিচ্ছে , স্বর্ণা আসিফকে বলে গেলেও চুপ করে থাকত আসিফ। বিয়ের পর থেকেই আসিফের এমন নির্লিপ্ততা নিদারুণ আঘাতে স্বর্ণাকে চৌচির করে দিত ।
আসিফের বাসা ছেড়ে মায়ের সাথে থাকতে শুরু করে স্বর্ণা । প্রথম প্রথম মা মিসেস বেলি মেয়ের জন্য কষ্ট পেলেও পরে সবটা নিয়তি বলে মেনে নেন। মেয়ে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাবে । নিজের পায়ে দাঁড়াবে । বড় চাকরী করবে । প্রয়োজন হলে আবার জীবন শুরু করবে নতুন কারো সাথে ,দেখেশুনে ।
এভাবে তিন বছর কেটে যায় । স্বর্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছে । হ্যান্ডসাম স্যালারি। আসিফের কথা ভুলেনি । সেই নির্লিপ্ততা ভুলবার নয় ।
আজ এই আগন্তুকের কলের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কত কিছু মনে পড়ে গেল স্বর্ণার । কেমন করে সে একাই তার এক আকাশ শূন্যতাকে বয়ে বেড়িয়েছে । কত হাহাকার বুকে নিয়ে এম ,এ পরীক্ষায় বসেছে । তার মা কেমন করে মেয়ের যন্ত্রণা ভাগ করার চেষ্টা করে গেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
বার বার মোবাইলটা হাতে নিয়ে সে সময় দেখছে, সাতটা বেজে যায়। আগন্তুকের ফোন নিয়ে তার আর ভাবতে ভালো লাগছে না। মা র সাথে টেলিভিশন দেখায় মন দেয়। হঠাৎ ফোনটা বেজে ওঠে। রিসিভ করে স্বর্ণা । ওপাশ থেকে - ম্যাডাম ? কালকের রিপোর্টটা রেডি । ঠিক আছে, ইমেইল করে দিন , বলে কথা শেষ করে সে। একটু পরেই আবার ফোন বেজে উঠলো । তখন রাত আটটা বেজে সাইত্রিশ মিনিট, ফোন রিসিভ করার সময় দেখে নেয় স্বর্ণা ।
হ্যালো, কে বলছেন?
আমি.....
স্বর্ণা বুঝতে পারলো এই ফোনটিই সেই ফোন। আগন্তুক নিজের পরিচয় দিলেন।
তাদের পরিচয় হলো।
আগন্তুকঃ আপনি কি বিজি? একটু কথা বলা যাবে ?
স্বর্ণাঃ জী বলুন, আমি বিজি না ।
এরপর কিসে পড়াশোনা , বাসায় কে কে আছে , কোথায় জব করছেন এমন আলাপে মিনিট দশেক কেটে গেল। বিদায় জানিয়ে স্বর্ণা সেদিনের মত ফোনটা রেখে দিল ।
যাক। গলার স্বরে বেশ একটা গাম্ভীর্যের ছাপ পাওয়া গেল। লোকটির ব্যক্তিত্বের ধরণ আচঁ করতে করতে সেদিন ঘুমিয়ে গেল স্বর্ণা । নতুন করে জীবন শুরু করার কথা ভাবছে স্বর্ণা । এই ভদ্রলোকের সাথে এই ব্যাপারেই আলাপ করার কথা ছিল তার । ভদ্রলোকের নাম শাওন আহমেদ । একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ । তার সম্পর্কে বলেছে স্বর্ণার অফিসের একজন।
আপনি কথা বলে দেখুন, পছন্দ হলে আমি নিজে কথা বলব বিয়ের ব্যাপারে , আশ্বস্ত করেছিলেন লিপি আপা। এই একাকী জীবনে বড্ড ক্লান্ত লাগছিল স্বর্ণার । অজানা শঙ্কায় কেমন যেন চুপসে গিয়েছিল সে। নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন গুলো আর আগাচ্ছিল না । স্থবিরতা কাটিয়ে শীঘ্রই সরব জীবনে ফেরার কথা বলছিল আশপাশের সবাই । অনেকদিন পার হয়ে গেছে । নিঃসঙ্গ জীবনের গল্প বলার মত কোন বন্ধুর জন্য স্বর্ণাও মনে মনে হয়ত অস্তিরতায় ভুগছিল ।
পরের দিন স্বর্ণা – শাওনের আবার কথা হলো। এবার দুপুরবেলা স্বর্ণা নিজেই ফোন করলো। ছুটির দিন। মাছ শিকারে ব্যস্ত ছিল শাওন ।
কেমন আছেন? কি করছেন? – স্বর্ণা প্রশ্ন করে।
আজ ছুটির দিন, কিছু সহকর্মীসহ এক জায়গায় মাছ শিকারে আসলাম- শাওনের উত্তর পাওয়া যায়। শাওন মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়লো আবার । কিন্তু ফাঁকে ফাঁকে তাদের অনেক গল্প হলো। শাওন প্রকৃতি প্রেমী মানুষ , প্রকৃতির সান্নিধ্য সে পছন্দ করে । ভ্রমনে তার বিশেষ আগ্রহ । ভালবাসে মাটির গান । মাঝে মাঝেই আখড়ায় গিয়ে গান শোনে সে।
স্বর্ণাও প্রায় একই রকম। গান, কবিতা , লিখালিখির অভ্যাস তার সহজাত। মার সাথে তার অবসর যাপন , মা ছাড়া তেমন কোথাও যায়নি সে । বই পড়ে সময় কাটায় । সাম্প্রতিক সময়ে হোমারের ইলিয়ড পড়ে বেশ আনন্দ পেয়েছে । বলে চলে স্বর্ণা ।
দিন যায়, তাদের গল্প বাড়তে থাকে। সেই গল্পে প্রাত্যাহিক দিন যাপন থেকে শুরু করে শিল্প-সাহিত্য, রাজনীতি, দর্শন, নাটক- চলচ্চিত্রে সমাজের প্রতিচিন্তা সব সব আসতে থাকলো।
একদিন এক পড়ন্ত বিকেলে বারন্দায় একা দাঁড়িয়ে স্বর্ণা ফোন হাতে নিয়ে কি যেন করছিল। পরক্ষনেই ভীষণ আনমনে আকশের দিকে তাকিয়ে রইল সে । স্বর্ণা আজ খুব চিন্তিত , মন ভাল নেই তার । চোখের নিচে রাজ্যের দুশ্চিন্তা কালো হয়ে ঝুলছে । মা জিজ্ঞেস করতেই বলল- দুইদিন ধরে ঘুম হচ্ছে না আম্মু। কেমন যেন হারিয়ে এক অনিশ্চয়তায় হারিয়ে যেতে থাকে স্বর্ণা । এক সপ্তাহ ধরে শাওন ফোন করছে না। রিং হলেও ফোনটা ধরছে না। স্বর্ণার একবার ইচ্ছে হয়েছিল ফোন করতেই থাকে না ধরা পর্যন্ত কিন্তু সৌজন্যের খাতিরে সেটাও করতে পারছে না। আজ সকাল থেকে শাওনের ফোনটা বন্ধ পাচ্ছে স্বর্ণা ।
লোকটার কি হল? লিপি আপার কাছে শুনেছিলাম বিয়ে হয়েছিল কিন্তু ভেঙ্গে গেছে । অন্য কারো সাথে কথা বলছে? প্রেমের সম্পর্ক আছে ?
সীমাহীন উদ্বেগে কণ্ঠ রোধ হয়ে আসে তার । তাইলে কি লোকটা আমার সাথে …………
না না , টাইম পাস করার কি আছে ? দেখা হয়নি আমাদের । আর আমারই বা এত অস্থিরতার দরকার কি? নিজেকে প্রবোধ দেয় স্বর্ণা । দিন পনের পার হয়ে যায় । স্বর্ণা অফিসের ফাইল নিয়ে ব্যস্ত। তার দিনগুলো অনিশ্চয়তার যন্ত্রণায় ভরিয়ে দিয়েছে সময়। হঠাত ফোনটা বেজে উঠল । অপরিচিত নাম্বার থেকে ভেসে এল পরিচিত হ্যালো …… আমি শাওন বলছি।
আপনি ? এতদিন কোথায় ছিলেন ? স্বর্ণার মন থেকে উৎকণ্ঠার মেঘ কেটে যায় নিমিষেই কিন্তু কণ্ঠে রাগ এবং অভিমান স্পষ্ট । আমি খুব অসুস্থ ছিলাম । কোভিড পজিটিভ সাথে জন্ডিস । আমি অফিসে অজ্ঞান হয়ে গেলে কলিগরা অফিস থেকে হাসপাতালে এডমিট করিয়ে দিলেন। খুবই জটিল অবস্থা ছিল আমার ।
স্বর্ণার শ্রবণ যেন আবছা হয়ে যায় । একটা অপরাধের গ্লানি তাকে বিষণ্ণ করে তোলে । কত কি না ভেবছে শাওনের ব্যাপারে। চিট , খেলো … আরো কত কি !!
অথচ এমন যমে-মানুষে লড়াইয়ের পর শাওন তার কাছেই ফিরেছে ! লজ্জায় কালো হয়ে যায় স্বর্ণার শান্ত মুখটা । শাওন জিগেস করতে থাকে- আপনি কেমন আছেন ? হ্যালো … আপনি ? কেমন আছেন?
স্বর্ণা কোন উত্তর দিতে পারে নি । ভালবাসার মানুষকে ঘৃণা করে আর কি ভাল থাকা যায় ! হে ঈশ্বর – আমায় ক্ষমা করুন, সব সব বাজে সন্দেহের জন্য । শাওনের কাছে ক্ষমা চাইলে যে তার লজ্জার সীমা থাকবে না ।
শাওন- স্বর্ণার যোগাযোগ আবার শুরু হয় । এবার স্বর্ণার কড়া শাসনে বাঁধা পড়ে চির স্বাধীন , বন্ধনহীন শাওন ।
আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই- কোন একদিন আলাপ চলাকালে শাওন নিজের ব্যক্তিগত কষ্টের ঝাঁপি খুলে একটি কাহিনীর অবতারণা করলো । তারও প্রেম , বিয়ে এবং বিচ্ছেদ আছে জীবনে । আমি জানতে চাই না আপনার অতীতের কিছু ,স্বর্ণা থামিয়ে দেয় । আপনার বর্তমানেই আমি বিচরণ করতে চাই । বর্তমানের সুখ দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করতে চাই । শাওনের বুকের ভিতরটায় কেমন একটা স্বচ্ছ সুখ অনুভূত হয় । শাওন এক নিমিষেই জীবনের ভীষণ অন্ধকার গলিটায় এক ঝলক আলো দেখতে পায় ।
তাদের বন্ধুত্বটা ক্রমেই গাঢ় হতে থাকে । প্রতিদিন নিয়ম করে তারা একে অপরকে ফোন দেয়। গান নিয়ে কখনো আলাপ হয় । কখনো দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সেসব থেকে উত্তরণ নিয়ে তাদের আলাপ এগুতে থাকে । এমনও হয় শাওন কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়লে ফোনে আলাপের সময়টা একটু কমে আসে । ফিরে এসে শাওন মজার সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করে স্বর্ণার সাথে ।
দুই বছর পর।
একদিন বালিশের নিচে আচমকা একটা চিরকুট খুঁজে পেয়ে শাওন খুলে পড়তে আরম্ভ করল- কবি হেলাল হাফিজের লিখা দুটো লাইন -
আপনি আমার এক জীবনের যাবতীয় সব
আপনি আমার নীরবতার গোপন কলরব ।
ইতি- স্বর্ণা ।
শাওনের ঠোঁটের কোণায় ঈষৎ লাজুক হাসি । তারা এখনো কথা বলছে । শিল্প, সাহিত্য, ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি নিয়ে এখনো তাদের আলোচনা চলছে । মাঝে মাঝে স্বর্ণার মিষ্টি গলায় শাওন হারিয়ে যায় অদেখা ভুবনে। এত আবেগ সে খুব কমই কারো গলায় ফুটে উঠতে দেখেছে । হামে তুমসে পেয়ার কিতনা , ইয়ে হাম নেহি জানতে … স্বর্ণার জাদুকরী টান , শাওনের মাধূকরি আহ্বান । চাঁদের আলোয় দুজনের জীবন যেন পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে । কোন কোন সময় চলে আবৃত্তির আয়োজন। শাওনের ভরাট কণ্ঠে পূর্ণেন্দু পত্রী । মুগ্ধ হয় স্বর্ণা ।
তবে আর ফোনে নয়, তাঁরা এখন বাস্তবিক মুখোমুখি আলাপ- আলোচনা, তর্ক-বিতর্কে সময় পার করে। একসাথে দিনযাপন করে, এক হয়ে জীবনযাপন করে । মাঝে মাঝে খুনসুটি হয় তাদের। মান -অভিমানের খেলায় চোখ ভিজে উঠে । কথা বলতে গিয়ে গলাটা ধরে যায় স্বর্ণার ।
তখনো স্বর্ণা অফিস থেকে ফেরেনি । শাওন তার জন্য অপেক্ষা করছে । ফ্যানের বাতাসে সাদা দেয়ালে ক্যালেন্ডারটা ফরফর করে উড়ছে । শাওনের চোখ পড়লো ক্যালন্ডারের পাতায় । আজ ১৭ নভেম্বর, তবে বৃহস্পতিবার নয় আজ রবিবার। আজ স্বর্ণা -শাওনের প্রথম পরিচয়ের দিন । দাম্পত্যকে ছাড়িয়ে এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, প্রগাঢ় বন্ধুতা তাদের সম্পর্কে এনে দিয়েছে হাজার বছরের উষ্ণতা ।
এই বন্ধুত্ব যেন এক ছুটন্ত রেলগাড়ি , সুন্দরের পানে যার আমৃত্যু যাত্রা । এর কামরা মাত্র একটি ,যাত্রী দুজন। গন্তব্য স্বর্গপুর যেখানে স্বর্ণা -শাওনের অটল বন্ধুত্ব দাম্পত্যের বন্ধনে আরো মজবুত, আরও সুরক্ষিত ।
শাওন হন্তদন্ত হয়ে ফুলের দোকানের দিকে ছুটল।