প্রতীকী ছবি
আমার মন থাকে না ঘরে,
আমার মনে থাকে না এই ঘর!
ঘরের ভেতরে আমি একা থাকি না, থাকলে
আমার নিজেকে লাগে বড় একা, পর!
ভাবছো,
এটি কেমন কথা! হয়তো কথার কথা
কেনো মনে হবে নির্জন, কেনো লাগবে একাকীত্ব
এমন নিষ্ঠুর নীরবতা! ঘরে আছে
যেহেতু শশুর-শাশুড়ি-সন্তান-আমার সুদর্শন বর!
আমার গার্হস্থ্য ঘরে,
সুখের অন্ত নাই, ধান সরিষা গবাদী পশু আছে,
তেল-তিসি-আলু-পটল-হলুদ-নুন
মুরগী-হাঁস আছে, পাখির ডাক আছে;
আছে বাবুই পাখি, বাকবাকুম কবুতর!
আমি জানি না, কেমন অজানা এক শূন্যতা
অথবা অপ্রাপ্তি ঘোরে আমার চারিধার...!
উপেক্ষা-অশান্তি-অবহেলা-অবজ্ঞা নয় সেটি...
হয়তো ভাবছো খুব ভালোমানুষ নয়, আমার বর!
না, তা নয়, সেটি ভুল ধারণা তোমার,
তিনি মাটির মানুষ-বাংলায় এম.এ.!
গ্রাম-বাংলা হতে ক্ষুধা দারিদ্র্য দূরীকরণে
আমার উনি-গড়ে তুলেছেন বিশাল কৃষিখামার!
এখানে ঘরের কাছেই তাঁর বিশাল গাভীর খামার!
পোষা টিয়া-ঘুঘু-ময়নার খাঁচা একপাশে;
একটু মেঘ হলে মনের আনন্দে
রকমারি পেখম মেলে নাচে পোষা মায়াবী মুয়ূর!
এ সব-ই করেছে সে, আমার নির্দেশে,
আমায় অত্যধিক ভালোবেসে! তুমি কী-
বলতে পারো? কেন আমার মনে থাকে না এই ঘর?
ঘরের ভেতরে নিজেকে লাগে বড় একা, পর!
আমি জানালার চৌকাঠে
মাথা ঠেকিয়ে তাকিয়ে দেখি...
আকাশ কাঁদে, নদী অবলীলায় শুকায়,
কিষান-কিষানী রৌদ্রে পোড়ে, শুকায় ধানের খড়!
বিশ্বাস করো, আমার মন থাকে না ঘরে
আমার মনে থাকে না এই ঘর!
ঘরের ভেতরে আমি একা থাকি না, থাকলে
আমার নিজেকে লাগে বড় শূন্য-একা-পর!
তুমি আসবে একদিন আমার ঘরে!
ঘুরবো তোমায় নিয়ে-আমাদের খামারে-মাঠে
সর্ষে ক্ষেতে! ঘুরবো স্নিগ্ধ জোস্নায় উঠোনময়!
না না কিছুই মনে করবেন না, উনি তেমন নয়!
সবার থেকে আলাদা তিনি,
এই পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ট আমার বর!