বাংলা একাডেমির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন, একক বক্তৃতা আয়োজন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, স্মৃতিচারণসহ নানা আয়োজনে বাংলা একাডেমির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার একাডেমিতে ছিল দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।
সকালে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি ও পরবর্তীতে বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকালে একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা শীর্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা-২০২৩ প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ-এর সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাডেমির সাবেক পরিচালক জাকিউল হক ও শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, কবি দিলারা হাফিজ, কবি লিলি হক, ড. ইসরাইল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দুপুরে একাডেমির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। সন্ধ্যায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সুরভিত সন্ধ্যা শীর্ষক স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তার যে বর্ণনা আমরা ইতিহাসে পাই তা একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার নিরিখে বলা যায় তা অসাধারণ ভবিষ্যৎদর্শনের রূপরেখা। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রাম মূলত শিক্ষার আন্দোলন।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমির গভীরে আছে একটি সজীব-সচল প্রাণসত্তা। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের গর্বিত ধারক-বাহকের নাম বাংলা একাডেমি।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।
খলিল আহমদ বলেন, বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার বাংলা একাডেমি ও অন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের সবস্তরের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সাংস্কৃতিক সাক্ষরতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ড. মো. হাসান কবীর বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনাস্নাত বাংলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধজাত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রত্যয়কে ধারণ করে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।