প্রতীকী ছবি
প্রিয় নুপুর,
তোমায় খুব ভালো করেই জানি-
তবুও মানে না মন, তাই-
পত্রের ছত্রে এই সাবধানতার বাণী!
হয়তো এখন বুঝবে না এর প্রয়োজন,
সামাজিক যোগ-বিয়োগের গোলোযোগে তোমার-
হতেও তো পারে কোনো অস্থিরতার বা উন্মাদনায়
ক্ষণিকের উষ্ণতার অতিমূল্যায়ন!
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে আজকাল;
এক একটি দিন কে মনে হয় মহাকাল!
আমার জন্যে-
লাউশাকের ডগার মতো তোমার লকলকে-
মুক্ত জীবন-যৌবন-পৃথিবী আজ বন্দী;
আমরা চাইলেই হয়তো হতেও পারতো সন্ধি!
মাঝে মাঝে ভাবি, তোমার এমন বন্দীজীবন-
আদৌ কী ছিল কোনো প্রয়োজন!
অনুনয় করে কতবার বলেছি তোমায়;
রোজ সময় করে যেও একবার মুক্ত হাওয়ায়!
যদি যাও সেই নদীর তীরে,
নিঃসঙ্কোচে হাঁটবে তুমি ধীরে ধীরে!
তোমার পদস্পর্শের জন্য মুখিয়ে আছে-
সহস্রাব্দ হতে জলে ডুবে থাকা বিরহী বালিকণা;
ওরা পীড়া দেয় আমায়, করে নানাবিধ যন্ত্রণা!
তোমার এক একটি পদক্ষেপে,
রুদ্ধশ্বাসের বালিকণার জীবন হতে দূরীভূত-
হবে মর্ত্যের যাবতীয় কৌলিণ্য!
পদ্মপাতার মতো স্বচ্ছ তোমার পাদুটো-
বুকে ধারণ করে আমি হবো চীর ধন্য!
খোলা আকাশের নীচে-
সেই সমুদ্র তীরে হাঁটার সময়,
তোমার নুপুরের খোঁজ নিবে আমারই-
হৃদয় নিঃসৃত কিছু নির্ভেজাল নোনা জল!
হাওর-বাওড় অথবা নদীর কর্দমাক্ত জল নয়;
অঞ্জলি ভরে মুখে নিও, বুঝবে-
একসমুদ্র দুঃখের নোনাজলে, আমি-
কিভাবে কাটছি সাঁতার!
প্রিয় নুপুর, মন তো নুপুর,
কানের দুল অথবা নাকফুল নয়;
আমি ছাড়া কে বুঝবে!
কেউ কী আদৌ বুঝবে; কত মূল্য তার?