নির্ঘুম রাত, ফাইল ছবি
এখন ঘড়িতে রাত তিনটে!
কোনোদিন ঘুম ভাঙেনা আমার এমন সময়!
এয়ার কন্ডিশনের হিম বাতাসের মাত্ৰা-
সহনশীল করি রিমোট চেপে!
চোখের ঝাপসা ভাব কাটি জামার আস্তিনে মুছে!
সুইচে নিছক একটি অঙ্গুলিস্পর্শে-
নিমিষে আলোর সুবন্দোবস্ত হয়ে যায় ঘরময়!
ততক্ষণে সময়-
তিনটে বেজে তিন মিনিটের দোরগোড়ায়।
অনেকদিন পেরিয়েছে-
এমন অসময়ে ঘুম ভাঙেনি আমার!
আমি বালিশে হেলান দিয়ে-
হাতে মাথার ভার নিতে গিয়ে অনুভব করি-
বুকের বাঁ পাশের শূন্যস্থানে অতিসূক্ষ্ম ব্যথা!
ঢকঢক শব্দে শেষ করি পুরো এক গ্লাস জল!
পরিতৃপ্তির ঢেঁকুড় ছাড়তে ছাড়তে দেখি-
ঘড়িতে রাত তিনটে তেতত্রিশ!
আমি ভাবি,
এমন অসময়ে কেনো ঘুম ভেঙে গেলো আজ?
চাঁদের বাঁধভাঙা আলোর চোখ ইশারায়-
ঘরে টিকতে না পেরে চলে আসি বারান্দায়!
পথিকের পদভারে ক্লান্তপথ চিৎ হয়ে ঘুমায়।
আমি দেখি,
ঘড়িতে তখন ভোর চারটের ঘর ছুঁইছুঁই!
বুকের বাঁপাশের ব্যথাটি আবারো গা ঝাড়া দিয়ে জানায়-
আমার শরীরে অথবা মনের কোনে 'সুখ নেই'!
যা রয়েছে তা হলো-
শুধুই অসুখের উপাদান।
ঘড়িতে ভোর চারটে পেরিয়ে যায়;
সুখ নাই, সুখ নাই, সুখ নাই .......!
আমি আবারও ঘুমুতে চাই ! কিন্তু-
অসুখ দূরীকরণের কোনো
রিমোট-সুইচ অথবা রেশমি কাপড়-
হাতের নাগালে নাই।