প্রতীকী ছবি
কেনো এলে অবেলায়!
ছিলাম অরণ্যে-গুহায় নিঃসঙ্গের সঙ্গী হয়ে!
তোমার প্রত্যাবর্তনে, আমার-
সহস্রাব্দের তন্দ্রাভাব গিয়েছে দূরাকাশে উড়ে!
আঁধারের ওপারের স্বচ্ছ আলোর বিকিরণে-
ঝলসে গিয়েছিল,আমার বিরহী বিবর্ণ শরীর!
তোমার শুভাগমনে আমার পরিত্যক্ত উঠোনের-
সফেদ কামিনীর মুখে দেখি আজ ঈষৎ আবীর!
তুমি এসেছো তাই,
ভগ্ন হৃদয়ে আজ অসীম উচ্ছাস!
চোখ বুজে খুঁজে পাই-
অনুপম অনুভূতির প্রশান্তির আভাস!
দেখি, শিশিরের মুক্তোদানায় ঝলমল করে-
তোমার নির্মল মুখচ্ছবি,
আমি শূন্যে কান পেতে শুনি প্রকৃতির গান;
পাখির কলরবে আমি স্মৃতি-কাতর-যেনো কবি!
মৃত্যুর কাছে ধার করা জীবনে, তুমি-
তোমার স্নিগ্ধ চোখের ইশারায়-
এনেছো বাঁধভাঙা যৌবনের জোয়ার;
তুমি আবার কেনো এলে বোলো- এই ঘোর অবেলায়!
অব্যক্ত কথাগুলো বৃষ্টি অথবা ঝর্ণা ধারা হয়ে-
গাল বেয়ে ঝরেছে অবিরত,
অতৃপ্ত অনুভবের স্পর্শগুলো উড়েছে জোনাকির মতো, আমার-
হারানো অতীত, অব্যক্ত অনুভব, অপ্রাপ্তির স্মৃতিরা ছিলো কান্নারত।
তুমি এসেছো তাই-
আমার উদ্বেলিত মন আজ শান্ত;
গোলাপের পরাগায়নের সংক্ষিপ্ত সময়গুলো-
আরও দীর্ঘ- সুশ্রী-মনোহর-আরও প্রসারিত।
চরম অবেলায়-
তুমি আবার কেনো এলে!
শূন্য ঘর, শূন্য উঠোন, বিশ্বচরাচরের অসীম শূন্যতায়-
তুমি গিয়েছিলে চলে, আমায় একা ফেলে!
তোমার হটাৎ আগমন যেনো ঝোড়ো হাওয়ার ঝাপটা-
মুখ থুবড়ে পরে থাকা ধূসর স্মৃতির ধুলোয়!
অভিমানের বাঁধভাঙা স্রোতে-
ঠুনকো সামাজিক বাধা কি করে কূলোয়!
এলেই যদি অবেলায়, দ্বিধাগ্রস্ত পায়ে-
কেনো তুমি দাঁড়িয়ে, দুয়ারে!
পাশে বসে, হাতে হাত রেখে;
ভরিয়ে তোলো শূন্য হৃদয়- প্রেমের পূর্ণ জোয়ারে!