নারী ও পুরুষ সবার জন্যই চুল পড়া একটি দুশ্চিন্তার কারণ। ছেলেদের চুল পড়লে টাক হয়ে যায়। এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন অনেকেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে ধীরে ধীরে পাওয়া যাবে সুফল। তা হলে জেনে নিন চুল পড়া রোধে কী কী করণীয়।
ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ নারিকেল তেল মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে এবং চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে নারিকেল তেল গরম করুন এবং মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আর চুলের দ্রুত বৃদ্ধি জন্য রোজমেরি তেল নারিকেল বা জোজোবা তেলের মতো ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
এ ছাড়া চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে পুদিনার তেল। এই তেল মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহকে উদ্দীপিত করে। অ্যালোভেরা তার প্রশান্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি খুশকি কমাতে ও চুলের ফলিকলকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে। সপ্তাহে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল ৩০ মিনিটের জন্য চুলে লাগিয়ে রাখুন।
এদিকে পেঁয়াজের রসে উচ্চমাত্রার সালফার উপাদান রয়েছে, যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। একটি পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে এর রস বের করুন। মাথার ত্বকে রস প্রয়োগ করুন, ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
মেথি বীজ প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ, যা চুল বৃদ্ধির জন্য উপকারী। মেথি দানা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি মাথার ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
চুলে প্রতিদিন গ্রিনটি ব্যবহার করুন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এক কাপ গরম পানিতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ তৈরি করে ঠান্ডা হতে দিন। শ্যাম্পু করার পর মাথার ত্বকে গ্রিন টি ঢেলে দিন এবং ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা চুল মজবুত করে। একটি ডিম বিট করে মাথার ত্বক ও চুলে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে।
নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। নিমপাতা সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পু করার পর এই নিমমিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল প্রধানত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তাই চর্বিহীন মাংস, ডিম, মটরশুঁটি ও বাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়। আয়রনের অভাবে চুল পড়তে পারে। পালংশাক, মসুর ডাল এবং লাল মাংসের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান প্রতিদিন। ভিটামিন এ, সি, ডি ও ই, জিংক ও সেলেনিয়াম চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি ও গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন।