|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বৈশাখের গরমে নাজেহাল জনজীবন। এক পশলা বৃষ্টির আভাস মাঝে মাঝে আকাশে দেখা দিলেও ঝড় কিংবা কালবৈশাখীর বৃষ্টির দেখা নেই এখনো। এদিকে বাড়ছে গরমের পারদের মাত্রা। তার মাঝেই বাইরের নিত্যদিনের অফিস, ভার্সিটিসহ নানা কাজে বের হতেই হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে হিট স্ট্রোকেরও প্রবণতা। শুধু গরমে হিট স্ট্রোকই নয়, জ্বর, সর্দি, কাশি পেট খারাপ কিংবা ত্বকের নানা ধরনের র্যাশ, লালচে দানা আর ঘামাচির সমস্যা যেন পিছু ছাড়তে নারাজ। তাই গরম থেকে যতটা সম্ভব বাঁচতে কিছু বিষয়ে চাই সতর্কতা।
গরমে সঙ্গে রাখুন ছাতা
বর্ষার বৃষ্টিময় দিন ছাড়াও গরমের কাঠফাটা রোদে চাই ছাতা। তবে তা যাতে অবশ্যই হয় কালো রং বাদে। কালো রং এমনিতেই তাপ শোষণ করে থাকে। তাই ছাতার কাপড়ের রং যাতে হয় সাদাটে কিংবা ধূসর রঙের মাঝে তা দেখেশুনে কিনুন। কাপড়ের বেলায়ও যাতে গরম রোধক হয় তার দিকেও নজর দিন।
পানি পানের অভ্যাস
গরমে পর্যাপ্ত পানি আপনাকে সুস্থ রাখতে অনেকখানি কাজ করে থাকে। দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। গরমে বাইরে থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করবেন না। এতে ভালোর চেয়ে মন্দের পরিমাণই বেশি। বাইরে থাকা অবস্থায় সঙ্গে পানির বোতল রাখুন ব্যাগে সব সময়।
সানক্রিম
এ গরমে ত্বকের যত্নে সানক্রিম রাখুন আপনার তালিকায়। ত্বককে সানবার্ন থেকে সুরক্ষিত রাখতে এ গরমে সানক্রিমের বিকল্প নেই।
সানগ্লাস, রুমাল, টিস্যু
রোদ থেকে চোখের সুরক্ষায় সঙ্গে রাখুন সানগ্লাস। গরমের এ সময় অবশ্যই ব্যাগে রাখুন টিস্যু আর রুমাল। সব সময় চেষ্টা করুন ঘাম এবং গরম থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে।
এ ছাড়া খাবারের তালিকায় মৌসুমি ফলসহ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখুন, বাইরের শরবত, লাচ্ছি এ জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। ঠিক দুপুরের গরমে বাইরে না বের হওয়াই ভালো। তাই কাজগুলো দিনের শুরু কিংবা শেষ অংশে রাখুন। পর্যাপ্ত পানি পানসহ ডাবের পানি কিংবা স্যালাইন পান করুন। এতে করে আপনার শরীর এ গরমে লড়াই করার পর্যাপ্ত শক্তির উৎস পাবে।
