
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া উপায়

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম

আরও পড়ুন
দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে আয়ুর্বেদের সাহায্য ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা সম্ভব। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে প্রতিদিন ডাল খাওয়া নিষেধ।
দীর্ঘদিন ধরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগলে কিডনিতে পাথর জমতে শুরু করে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে।
হলুদ
হলুদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিনের ডায়েটে হলুদ রাখলে গাউটের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। প্রতিদিনের রান্নায় হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি হলুদের চা বানিয়ে খেতে পারেন।
নিম-তুলসী
নিম ও তুলসী দুই ভেষজ উপাদানই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে দূর করতে সহায়ক। নিম-তুলসীর রস খেলে এটি দেহে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। দেহে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দেয়। পাশাপাশি লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শারীরিক প্রদাহ কমায়। এক মুঠো তুলসী পাতা ও নিম পাতা ধুয়ে থেঁতো করে নিন। এবার রস ছেঁকে নিন। এই মিশ্রণটি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খান। এছাড়া এক কাপ পানিতে নিম ও তুলসী পাতা ফুটিয়েও খেতে পারেন।
ত্রিফলা
আমলকি, হরিতকি ও বহেরা— তিন ফলের সংমিশ্রণ হলো ত্রিফলা। এই ত্রিফলা চূর্ণ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগলে ত্রিফলার চা খেতে পারেন। এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে পান করুন এই পানীয়।