
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আন্তর্জাতিক গাজর দিবস যেভাবে হলো

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম

আরও পড়ুন
প্রতি বছর ৪ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক গাজর দিবস’ উদযাপিত হয়। ২০০৩ সালে শুরু হওয়া এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল গাজরের পুষ্টিগুণ এবং বহুমুখী ব্যবহারের প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, যেমন ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং যুক্তরাজ্যে এই দিবসটি উদযাপিত হয়।
গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি, যা ফাইবার, ক্যারোটিনয়েডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। গাজরে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৩ সালে সুইডেনের একটি গাজরপ্রেমী সংগঠনের উদ্যোগে এই দিনটি প্রথম শুরু হয়। মূলত মজার ছলে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এটি বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় দিবসে পরিণত হয়। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল গাজরের পুষ্টিগুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য মানুষকে উৎসাহী করা।
গাজর কাঁচা, রান্না করা, স্যুপ, স্যালাড, জুস, পরোটা, স্যান্ডউইচ, পুডিং, মিষ্টি এবং হালুয়ায় ব্যবহার করা যায়। অনেকদিন ভালো থাকে ও নানাভাবে ব্যবহার করা যায় বলে গাজর সারা বছর খাদ্য তালিকায় রাখা যায়।
কীভাবে উদযাপন করবেন এই দিবসটি ?
স্বাদ পরীক্ষা
বিভিন্ন রঙের গাজর সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চোখ বন্ধ করে স্বাদ পরীক্ষা করতে পারেন, যা মজার অভিজ্ঞতা হতে পারে।
বাগান তৈরি
গাজরের টুকরো থেকে বাড়িতেই গাজর চাষ শুরু করতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব।
গাজর দিয়ে রান্না
গাজর স্যুপ তৈরি করে পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন। গাজর কুচিয়ে দুধ, চিনি, ঘি ইত্যাদি দিয়ে সুস্বাদু গাজরের হালুয়া বানাতে পারেন। বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ থাকলে গাজরের কেক বানিয়েও খেতে পারেন।