মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কিংবা দাঁত ক্ষয়ের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে কি?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দিনে দুবার নিয়ম করে দাঁত মাজা ও মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করার পরও কিন্তু মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। এর জন্য মাজন বা মাজার ধরন— কোনোটিই দায়ী নয়। তাহলে দায়ী কে?
আপনার দাঁতে পোকা, আর মাড়ি থেকে রক্তপাত ঝরছে এবং মুখে দুর্গন্ধ রয়েছে।— এসব উপসর্গের কথা শুনলে হয়তো যে কেউ জিজ্ঞেস করে বসবেন— ভালো করে দাঁত মাজা হয় না নিশ্চয়ই? কিন্তু দিনে দুবার নিয়ম করে দাঁত মাজলেও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কারণ এর জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে যোগ রয়েছে পেরিয়োডন্টাইটিসের।
পেরিয়োডন্টাইটিস হলে মাড়ি বা দাঁতসংলগ্ন নরম টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছোট ক্ষত বা ঘা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। দাঁতে প্রবল যন্ত্রণা হয়। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মুখে দুর্গন্ধ— এমনকি খাবার চিবিয়ে খেতেও সমস্যা হয়।
ডায়াবেটিসের সঙ্গে দাঁত বা মাড়ির রোগের বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে লালার মধ্যেও কিছু রাসায়নিক হেরফের ঘটে। মুখগহ্বরের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায় এবং মুখের ভেতরে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়াদের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। দাঁত ক্ষয়ে যায়, মাড়ি থেকে রক্তপাত হতেও দেখা যায়।
দাঁত ও মাড়ির যত্ন নেবেন যেভাবে—
১. পেরিয়োডন্টাল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমেই বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা ও পরিমিত খাদ্যগ্রহণ করলে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২. মুখগহ্বরের যত্ন নিতে হবে। দিনে অন্তত দুবার দাঁত মাজতে হবে। ফ্লুয়োরাইডযুক্ত মাজন ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হয়।
৩. দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি আটকাতে হলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। সমস্যা বুঝে বছরে অন্ততপক্ষে বারদুয়েক পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
৪. দাঁতের ‘গহনা’ থেকেও মাড়ি বা মুখগহ্বরে সংক্রমণ হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেগুলোও পরিষ্কার করাতে হবে। কৃত্রিম দাঁত বা ব্রেস থেকেও মাড়িতে সমস্যা হতে পারে। সেসব দিকেও নজর রাখা জরুরি।
৫. দাঁতের ছোটখাটো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে ধূমপানের অভ্যাসে। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ধূমপানে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে এ ধরনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
