
প্রিন্ট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
ঈদের শাড়ি ঈদের পাঞ্জাবি

হাবীবাহ্ নাসরীন
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ঈদের আনন্দ কখন পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে; জানি, অনেকেই অনেক কিছু বলবেন। তবে সে তালিকার শুরুর দিকেই থাকবে ঈদের পোশাকের নাম। আমাদের উৎসবের পোশাকের তালিকায় আবার উপরের দিকে থাকে শাড়ি-পাঞ্জাবির নাম। এ এমন এক পোশাক, যা সব বয়সির জন্যই মানানসই। আবার মাপ নিয়েও খুব একটা ঝামেলা থাকে না। শাড়ি আর পাঞ্জাবি-আমাদের কতশত উৎসব, আয়োজন, আনন্দ, আড্ডার সঙ্গী হয়ে আছে এ পোশাক। ঈদুল ফিতরের মতো এত বড় উৎসবে শাড়ি আর পাঞ্জাবি থাকবে না, তাই কি হয়! বিশেষ করে ছেলেদের ঈদের পোশাকে পাঞ্জাবি তো থাকতেই হবে, ঈদগাহে নামাজ পড়তে যেতে হবে না? ঈদের পাঞ্জাবি ছাড়া কি ঈদগাহে যাওয়ার আনন্দ পূর্ণ হয়! আর নারীর শাড়ি নিয়ে নতুন করে কী-ই বা বলার আছে। যে নারী তেমন একটা শাড়ি পরতে পারে না, তার সংগ্রহশালা খুঁজলেও পাওয়া যাবে বাহারি সব শাড়ি। কারণ কী এর? আসলে বাঙালি নারীর শাড়ির প্রতি আলাদা এক প্রেম শুরু হয় বুঝি শৈশব-কৈশোর থেকেই।
কেমন শাড়ি কিনবেন
কেবল শাড়ি নয়, যে কোনো পোশাক কেনার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহারের উপযোগিতা চিন্তা করে নিতে পারলে ভালো। ধরুন, আপনি অনেক দাম দিয়ে অনেক জমকালো একটি শাড়ি কিনলেন, কিন্তু একবার পরার পর সেটি আর কোথাও পরে যাওয়া হলো না, পড়ে রইল আলমারির এক কোনে। এতে কিন্তু আপনারই ক্ষতি। কারণ, অপচয়কারীর তালিকায় যুক্ত হবে আপনার নাম। আবার একগাদা টাকা খরচ করে যে শাড়ি বা পোশাকটি কিনলেন সেটি একবার পরে, ফেলে রাখলেও টাকাগুলো নষ্ট। তাই পোশাক কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে এ বিষয় মাথায় রাখুন। এ বছরও গরমেই হবে ঈদ। তাই জমকালো, চটকদার পোশাকে চোখ না দিয়ে বরং আরামের দিকটা খুঁজুন। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ সুতিসহ নানা আরামদায়ক কাপড়ের তৈরি শাড়ি নিয়ে আসে প্রতিবার উৎসবের আয়োজনে। সেদিকে নজর দিতে পারেন। কারণ, সেসব শাড়ি যেমন আরামদায়ক, তেমনই রুচিশীল। আবার বারবার ব্যবহারও করা যায়। উৎসবের শাড়ি হিসাবে জামদানি, সিল্ক, মসলিন, জর্জেট, লিনেন, সুতি, খাদি, হাফসিল্ক ইত্যাদি কাপড় বেছে নিতে পারেন। তবে আরামের বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। আর রং? সে তো আপনার রুচির বিষয়। আপনার চোখে যে রংটি ভালো লাগে, লোকে কী বলবে তা না ভেবে কিনে ফেলুন। নিজের পোশাক নিজের পছন্দেই তো কিনবেন, তাই না?
একটা পাঞ্জাবি চাই
হামাগুড়ি দিচ্ছে এমন ছেলেশিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ পুরুষ; এ ঈদে পাঞ্জাবি কার চাই না বলুন তো? সবারই একটি করে পাঞ্জাবি হলে খুব ভালো হয়। বলা হয়ে থাকে, ছেলেরা কেনাকাটায় খুব একটা পটু হয় না। একথা কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। বরং এভাবে বলা যেতে পারে, ছেলেরা মেয়েদের পোশাক কেনার ক্ষেত্রে খুব একটা পটু হয় না। তা নারীর মন আর পছন্দ বুঝে কে-ই বা কবে পোশাক কিনতে পেরেছে ঠিকঠাক? অন্যের জন্য পছন্দ না করতে পারলেও ছেলেরা কিন্তু নিজের ঈদের পাঞ্জাবিটি ঠিকই দেখেশুনে কিনতে পারেন। তবে পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও শাড়ির মতোই সবার আগে মাথায় রাখতে হবে আরামের বিষয়টি। কারণ, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া, কোলাকুলি করা, এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফিরনি-সেমাই খাওয়া, সেসব কি এমন কোনো পাঞ্জাবি পরে করতে পারবেন, যেটি একদমই আরামদায়ক নয়? আপনার বয়স ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই এমন রঙের পাঞ্জাবি বেছে নিন। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, নারীর শাড়ি তার পছন্দের রঙে কিনতে পারলে পুরুষ কেন পারবে না? অবশ্যই পারবেন। কিন্তু পুরুষের পছন্দ যদি হয় ক্যাটক্যাটে হলুদ, সে রঙের পাঞ্জাবিতে ঈদের দিনে তাকে কেমন লাগবে একবার কল্পনা করেই দেখুন না! তাই সহজে বেছে নেওয়ার জন্য সাদা, অফ হোয়াইট, মিন্ট, অলিভ, স্কাই ব্লু ইত্যাদি রঙের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে পারেন। আর কাপড় হিসাবে একটু জমকালো কিছু চাইলে সিল্ক বা মসলিনের দিকে আর তার থেকেও বেশি আরামদায়ক চাইলে লিনেন, সুতি আর খাদি তো রয়েছেই।