
প্রিন্ট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
ছোটদের ঈদ পোশাক

ফারিন সুমাইয়া
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
শৈশবের ঈদের স্মৃতি সবচেয়ে মধুর। বাড়ির বড়দের থেকে ছোটদের আনন্দের মাত্রাই থাকে ঈদকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি। নতুন জামা আর তার সঙ্গে মিলিয়ে জুতা জোড়া কিনে লুকিয়ে রাখা হয় চাঁদরাত অবধি। বাক্সবন্দি সেই নতুন পোশাকে ঈদের সকালে বাড়ির ছোট্ট মিষ্টি সদস্যটি সাজিয়ে তোলে নিজেকে। তাই ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ঈদের আগে থেকেই শুরু করতে হয় প্রস্তুতি। বিশেষ করে বাড়ির বড় এবং ছোট সদস্যদের জন্য পোশাক কিনতে মাথায় রাখতে হয় অনেক কিছু। আর তা যদি হয় ঈদের মতো বড় কোনো উৎসবের, তবে কেনাকাটার পর্ব চলে রোজাজুড়ে কয়েক ধাপে।
ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে ঈদের একটি পোশাকই যথেষ্ট। তবে শিশুদের বেলায় বিষয়টি ভিন্ন। বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের সকালের দিকের পোশাক এক ধরনের হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকাল আসতে আসতে পালটে দিতে হয় পোশাক। রাতের দিকে আবার অনুষ্ঠান কিংবা দাওয়াত বুঝে পোশাকে আসে পরিবর্তন। যেহেতু ঈদের আনন্দ মানেই বর্ণিল রঙের সমাহার তাই উজ্জ্বল রং হতে পারে আপনার শিশুর এ ঈদের পোশাকের রং। তাই লাল, কমলা, সবুজ, গোলাপি, নীল এমন সব রং থেকে পছন্দ করে নিতে পারেন আপনার শিশুর জন্য পছন্দের পোশাকের রং। এ ক্ষেত্রে সাদা ধাঁচের রং শিশুদের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে কালো কিংবা এ জাতীয় রং গরমের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে, তাই হালকা রং বেছে নিন। গরমের শুরুর দিক হওয়াতে পাতলা কাপড় শিশুর ঈদ পোশাকের জন্য বেশি মানানসই। এ ক্ষেত্রে সুতি, লিনেন, তসর সিল্ক জাতীয় কাপড় শিশুর জন্য বেশি আরামদায়ক হয়ে থাকে। এ জাতীয় কাপড় ঘাম দ্রুত শুষে নেয়, তাই ঘামের কারণে দুর্গন্ধ কিংবা ভেজা ভাব থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই কম। এতে করে শিশুর গরম থেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকখানি। জামার পাশাপাশি কিনতে হবে পছন্দের জুতা জোড়া। জুতা কেনার সময় পায়ে তা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা আর শিশু আরাম করে হাঁটতে পারছে কিনা, সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ঈদের পোশাকে থাকতে হবে ভিন্নতা। সে কথা মাথায় রেখেই ফ্যাশন হাউজগুলো ওয়েস্টার্ন পোশাক থেকে শুরু করে দেশীয় ডিজাইনের সঙ্গে আরও অনেক নান্দনিক ডিজাইন যুক্ত করে নতুনত্ব এনেছে। বিশেষ করে মেয়েদের সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, টপস, লেহেঙ্গা, টু-পিস, থ্রি-পিসসহ ফ্রক-এর প্রিন্ট থেকে শুরু করে এর বাইরের আউটলুকেও। ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পায়জামাতে রং এবং প্রিন্টের ভিন্নতা আনা হয়েছে। এর বাইরে শিশু মনের কার্টুন চরিত্রের আলোকে ডিজাইন এবং রঙের ছোঁয়া আনা হয়েছে ঈদকে কেন্দ্র করে। তবে শিশুদের পোশাকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বের বিষয় হচ্ছে আরামদায়ক কতখানি সেই বিষয়টি। আঁটোসাঁটো পোশাক না পরিয়ে খুব জমকালো কারুকাজময় পোশাক শিশুকে না পরিয়েও শিশুর ঈদকে করে তোলা যায় একটু ভিন্নতায় অনেকখানি বর্ণিল।