
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
অতিরিক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করবে এই ৬ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৬ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা হলো অনেকটা চক্রব্যূহের মতো। একবার প্রবেশ করলে আর বাইরে আসা যায় না। বদলে উদ্বেগ, জটিলতা এবং মানসিক চাপ অত্যধিক বেড়ে যায়। ব্যাঘাত ঘটে মনোযোগে, ঘুমের এবং বর্তমান মুহূর্তকে উপভোগ করার অভিজ্ঞতায়। আর এই বদভ্যাসটি সহজে দূর করা যায় না। তবে সত্যি সত্যিই যদি অতিরিক্ত এবং অযথা চিন্তাভাবনার হাত থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে কয়েকটি উপায় মেনে চলুন। উপকার পাবেনই।
১. যে বিষয়গুলো আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন তার ওপর মনোনিবেশ করুন
বেশিরভাগ অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা তখনই ঘটে, যখন সেই সব বিষয়ের ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। প্রতিটি সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে ভাবতে ভাবতেই মনের ওপর চাপ বেশি পড়ে। শুরু হয় উদ্বেগ এবং আশঙ্কা। তাই এই অযথা চাপ নেওয়ার পরিবর্তে, যে বিষয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। এবং নিজের কাজে মন দিন। ভালো কর্ম করলে, ভালো ফল নিশ্চয়ই মিলবে।
২. ৭২ ঘণ্টার নিয়ম
অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বন্ধ করার একটি সহজ উপায় হলো প্রশ্ন করা। ৭২ ঘণ্টার জন্য কি এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ? নিজেকে এই প্রশ্নটি মনে মনে করুন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে মানুষ সেই সব বিষয় নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা করে যেগুলো ভবিষ্যতে ঘটবে কিংবা যে জিনিসগুলো কয়েকদিন পর অপ্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়াবে। ৭২ ঘণ্টার নিয়ম প্রয়োগে ছোটখাটো উদ্বেগ সহজে দূর হয়।
৩. অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার চক্র ভাঙুন
অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা একটি অভ্যাসের মতো। যত বেশি চিন্তা করবেন, ততই এটি মাথায় চেপে বসবে। আর এই চক্র ভাঙা শুরু করতে পারেন সচেতনতা দিয়ে। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, এর বিরতি নিতে শুরু করুন। গভীরভাবে শ্বাস নিন এবং অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করুন।
৪. ৫ মিনিটের টাইমার সেট
চিন্তা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিন। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় নষ্ট করবেন না। তাতে অবিরাম অতিরিক্ত বিশ্লেষণের প্রবণতা এড়ানো যায়। সময় শেষ হয়ে গেলে, সেই চিন্তাভাবনার বদলে পরের পদক্ষেপ নিয়ে ভাবুন।
৫. খারাপ কিছু চিন্তা করা বন্ধ করুন
মানুষের মস্তিষ্কের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কল্পনা করার একটা প্রবণতা থাকে। যদিও এর পিছনে বিশেষ কোনো যুক্তি থাকে না। এই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বন্ধ করুন।
৬. সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করুন
কখনো কখনো, সমস্যাগুলো যতটা না বড় হয়, মানুষ তার চেয়ে অনেক বেশি ভেবে বসে। তার চেয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। কোনো ঘনিষ্ঠ বিশ্বস্ত মানুষের পরামর্শ নিন। সমস্যাগুলো একে একে লিখে সমাধানের চেষ্টা করুন। সমস্যার সমাধানের সম্ভাব্য উপায়গুলো লিখে রাখুন। দেখবেন চিন্তা অনেকটা কমে গেছে।