
প্রিন্ট: ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
নিয়মিত চুলে কালার করার অভ্যাস হতে পারে বড় বিপদের কারণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
সাদা চুল লুকোতে অনেকেই নিয়মিত চুলে কালার করেন। কেউ আবার নিজের লুক পরিবর্তন করতে চাইলেও প্রথমে চুল রঙ করার কথা চিন্তা করেন। কেউ কেউ আবার ট্রেন্ড মেনে চুলে রঙ করেন। অথচ এই ঘন ঘন চুলে রঙ করা যে আদতে কতটা ক্ষতিকর, তা অনেকেই হয়তো জানেন না। রঙের মধ্যে থাকা রাসায়নিক চুলের অত্যন্ত ক্ষতি করে। এ ছাড়াও এর বেশ কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই পরের বার চুল কালার করার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখুন।
চুল দ্রুত ভেঙে যায়
নিয়মিত চুল রং করার সবচেয়ে খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটি হলো, এর জেরে চুল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বেশির ভাগ হেয়ার কালার তৈরি হয় অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের মতো তীব্র রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। এই জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। ফলে ধীরে-ধীরে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুলের গোড়া ভাঙতে শুরু করে।
পাতলা চুল
রাসায়নিক উপাদানের জেরে গোড়া থেকে চুল পাতলা হতে শুরু করে। অ্যামোনিয়া জাতীয় রাসায়নিক চুলের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও তেল অতি দ্রুত শুষে নেয়। ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। আর পাতলা চুল সহজে ঝরে পড়ে।
মাথার ত্বকে জ্বালা ভাব
চুলের রঙে থাকা রাসায়নিক উপাদানের কারণে মাথার ত্বকে জ্বালা ভাব, চুলকানি, অ্যালার্জি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। চুল কালার করার পর মাথার ত্বকে জ্বালা ভাব কিংবা চুলকানি শুরু হলে ধরে নিতে হবে, আপনার মাথার ত্বক হেয়ার ডাই বা কালার সহ্য করতে পারছে না।
স্টাইলিং-এ লুকানো বিপদ
নিয়মিত চুল কালার করলে একটা সময়ে চুল পাতলা এবং রুক্ষ হয়ে পড়ে। এ রকম চুলে স্টাইলিং সম্ভব নয়। কেউ যদি এর উপরেও স্টাইলিং-এর চেষ্টা করেন, তা হলে মাথার চুলের আরও ক্ষতি।
ক্ষতি ঠেকানোর উপায়
চুলের ক্ষতি ঠেকাতে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। নিত্যনতুন ট্রেন্ডে গা ভাসানোর আগে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। চুলের কালার বেছে নেওয়ার আগে সতর্ক হোন।
- অ্যামোনিয়াবিহীন প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করুন।
- পুরো চুল কালার করার আগে প্যাচ টেস্ট করুন। চুলের সামান্য একটা অংশ কালার করে দেখুন যে, এর প্রভাবে কোনো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না।
- নিয়মিত চুল কালার করতে হলে নিজে না-করে কোনো বিউটি পার্লার বা পেশাদার কারও সাহায্য নিন। পেশাদার হেয়ার স্টাইলিস্টরা জানেন যে, কোন চুলে কোন হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে, কোনটা আপনার চুল ও ত্বকের জন্য ভালো।