
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। নিজেকে একটু মর্ডান দাবিদার ব্যক্তিই হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার চেয়ে চামচ দিয়ে খাবার গ্রহণে বেশি আগ্রহী।
প্রতিনিয়ত এই সংখ্যাটা বাড়ছে। বিশেষ করে পাঁচ তারকা হোলেটগুলোতে হাতের পরিবর্তে চামচ দিয়ে খাবার গ্রহণকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি।
তাছাড়া সমাজের কিছু ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদের এলিট প্রমাণ করার জন্য হাতের পরিবর্তে চামচ দিয়ে খাবার গ্রহণ করে থাকেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে হাতে খাবার গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আসুন জেনে নেই হাত দিয়ে খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী।
ভালো হজমশক্তি
হাত দিয়ে খাবার খেলে হজমের ক্রিয়া ঠিক থাকে। আয়ুর্বেদের মতে, যখন আপনি আপনার মুখে খাবার রাখেন, তখন আপনি যোগব্যায়ামের ভঙ্গিতে আপনার আঙ্গুলগুলি নাড়াচাড়া করেন যা খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, যখন আমরা হাত দিয়ে খাই, তখন আমরা এটাও জানি যে কতটা খাব, কী খাব, কোন গতিতে খাব ইত্যাদি, যা হজমের প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
হজমের সমস্যা
হাত দিয়ে খাবার খেলে হজমের সমস্যা খুব একটা হয় না। হাতে এমন অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আঙ্গুলের মাধ্যমে পেটে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি শরীরকে ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে রক্ষা করে স্বাস্থ্যের উপকার করে।
রক্ত সঞ্চালন
হাত দিয়ে খাবার খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। আসলে, হাত দিয়ে খাওয়ার সময় পাঁচটি আঙুলই একসাথে থাকে। যার ফলে হাতের পেশীগুলির ব্যায়াম হয়। একজন ব্যক্তির পাঁচ আঙুলে অবস্থিত বিন্দুগুলি শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে স্নায়ুতন্ত্রও সক্রিয় থাকে।
আঙুল তাপমাত্রা বলে দেয়
খাওয়ার সময়, আঙুলের বিন্দুগুলি খাবারের তাপমাত্রা অনুভব করে। যার কারণে ব্যক্তির মস্তিষ্ক শরীরকে খাবারের জন্য প্রস্তুত করে। আয়ুর্বেদ বলে যে হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি হয় যা খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।
দেহে পাঁচটি উপাদানের ভারসাম্য বজায় থাকে
আয়ুর্বেদের মতে, হাতের পাঁচটি আঙুল আকাশ (অঙ্গুল), বায়ু (তর্জনী), অগ্নি (মধ্যমা), জল (অনামিকা) এবং পৃথিবী (কনিষ্ঠ আঙুল) এর প্রতীক। হাত দিয়ে খাওয়ার ফলে শরীরের এই পাঁচটি উপাদানের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং শরীর শক্তিও পায়।
পরামর্শ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার খাওয়ার আগে সবসময় হাত ধোয়া উচিত। যখন আমরা নোংরা হাতে খাই, তখন আমাদের হাতের ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু আমাদের হাতে লেগে থাকতে পারে এবং খাবারের সাথে আমাদের পেট, গলা, মুখ এবং অন্ত্রে পৌঁছাতে পারে, যার ফলে সমস্যা দেখা দেয়।