হার্ট ভালো রাখে ফাইবারসমৃদ্ধ যে ১০ খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যতালিকায় ফাইবার, বিশেষ করে দ্রবণীয় ফাইবার, কোলেস্টেরলের অণুর সঙ্গে একত্রিত হয়ে রক্তপ্রবাহে তাদের শোষণ রোধ করে খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
এর ফলে ধমনীতে প্লাক জমার ঝুঁকি কমে, হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে।
এছাড়া ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে, ইনসুলিনের বৃদ্ধি রোধ করে যা হৃদরোগের সমস্যায় অবদান রাখতে পারে। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার রক্তচাপ এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন ১০টি খাবার হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে।
১. ওটস: ওটস দ্রবণীয় ফাইবারের অন্যতম সেরা উৎস, বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটমিল খাওয়া বা স্মুদি এবং বেকড খাবারে ওটস যোগ করা হৃদয়ের জন্য সহায়ক।
২. মসুর ডাল: মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্যুপ, তরকারি বা সালাদে মসুর ডাল যোগ করলে তা হৃদরোগ-বান্ধব পুষ্টি বৃদ্ধি করে।
৩. চিয়া সিড: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা প্রদাহ কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে। পানিতে ভিজিয়ে অথবা দই, স্মুদি বা পুডিং, সালাদের সঙ্গে যোগ করেও চিয়া সিড খাওয়া যায়।
৪. ফ্লেক্স সিড: ফ্লেক্স সিড বা তিসির বীজ লিগনান এবং দ্রবণীয় ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। এটি স্মুদি, সালাদ অথবা ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
৫. আপেল: আপেলে পেকটিন থাকে, এক ধরণের দ্রবণীয় ফাইবার যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং ধমনীতে প্লাক জমা হওয়া রোধ করে। প্রতিদিন একটি আপেল নাস্তা হিসেবে খাওয়া বা সালাদ এবং ওটমিলে আপেলের টুকরো যোগ করলে হৃদরোগের উন্নতি হতে পারে।
৬. অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। স্যান্ডউইচ, সালাদ বা স্মুদিতে অ্যাভোকাডো যোগ করলে হৃৎপিণ্ডেরকার্যকারিতা এবং সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
৭. বিনস: বিনে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্যুপ, স্টু এবং সালাদে বিনস যোগ করে খাওয়া যায়।
৮. বেরি: বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং পলিফেনল থাকে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো বেরি খাওয়া বা এটি স্মুদিতে মিশিয়ে খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যায়।
৯. গোটা শস্য: গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খাবারে মিহি শস্যের পরিবর্তে গোটা শস্য খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং হজমে সহায়তা করে।
১০. গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হৃদপিণ্ডের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। নাস্তা হিসেবে কাঁচা গাজর খাওয়া বা সালাদ এবং স্যুপে যোগ করা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি