
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
কোন খেজুরে কী গুণ

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
খেজুরকে বলা হয় সুপার ফুড। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক।
খেজুর খেয়েই রোজা ভাঙার প্রচলিত নিয়ম আছে। তবে কোন খেজুরে কেমন গুণ বা কোন খেজুর খেলে স্বাস্থ্য বেশি ভালো থাকবে, জানা আছে?
ডেগলেট নূর: এটি মাঝারি আকারের, নরম হয়। এমন খেজুরই বেশি পাওয়া যায় বাজারে। ডেগলেট নূরে শর্করার মাত্রা খুব কম, তবে ফাইবার বেশি। মেদ কমাতে খুবই উপযোগী এই খেজুর। মিষ্টি কম থাকায়, ডায়াবিটিসের রোগীরাও খেতে পারেন এই খেজুর।
বারহি: বারহি খেজুর একটু হলদে হয়। মাঝারি আকার। এই খেজুরও ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম বারহি খেজুরে থেকে পাওয়া যেতে পারে ২৮২ কিলোক্যালোরি শক্তি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৪ গ্রাম ফ্যাট। যারা ওজন কমাতে কঠোর ডায়েট করছেন, তাঁরা সকালে এই খেজুর খেতেই পারেন। এটি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে। হজম ভালো হবে।
আজওয়া: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর হাদিস অনুসারে, আজওয়া খেজুরের নিরাময়ের গুণ রয়েছে। রং কালচে হয় এবং এতে মিষ্টির পরিমাণ অন্যান্য খেজুরের থেকে সামান্য বেশি। আজওয়া খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে এবং হজমশক্তি ভালো হয়। ওজন কমানোর জন্যও সহায়ক হতে পারে।
সুক্কারি: সুক্কারি খেজুরের নাম আরবি সুক্কুর বা চিনি শব্দ থেকে এসেছে। এটি সৌদি আরবের আল কাসিম অঞ্চলে চাষ করা হয়। খেজুরটি দাতের ক্ষয়রোধ, কোলেস্টেরল কমানো ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
মেডজুল: মেডজুল খেজুরের রাণি হিসেবে পরিচিত। বড় আকারের আর কড়া গন্ধের কারণে অনেকের কাছেই এটি জনপ্রিয়। এই খেজুর স্মুদি তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়। মেডজুল খেজুরে ক্যালসিয়াম ও আয়রন বেশি থাকে। প্রতিদিন একটি মেডজুল খেলে ফাইবারের ২০% পাওয়া যায়।
খেজুরের উপকারিতা—
১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৮. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।