সুগার ফ্রি এবং নো অ্যাডেড সুগারে পার্থক্য কী, কোনটি বেশি উপকারী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে যথাসম্ভব চিনি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। ওজন কমাতে হলে এ ব্যাপারে রীতিমতো কড়াকড়ি থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও চিনি বাদ। আর ঠিক সে কারণেই চিনি ছাড়া খাবারের প্রচলনটা দিনে দিনে বাড়ছে।
যার ফলে চকোলেট হোক বা দই, কিংবা কুকি অথবা বিস্কুট- রকমারি পণ্যের মোড়কে দেখা যায় লেখা রয়েছে ‘সুগার ফ্রি’ বা ‘নো অ্যাডেড সুগার’। তাহলে কি দুই শব্দবন্ধের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে।
‘সুগার ফ্রি’ বলতে কী বুঝায়
সুগার ফ্রি বললে কি সত্যি একেবারে চিনি ছাড়া বোঝায়? নাকি তাতে কৃত্রিম চিনি যোগ করা থাকে? ‘হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং’-এর তথ্য অনুযায়ী ‘সুগার ফ্রি’ খাবারে প্রতি গ্রামে সামান্য পরিমাণে হলেও চিনি থাকে। এতে স্টিভিয়া বা অন্য ধরনের প্রাকৃতিক মিষ্টি ব্যবহার করা হয় কখনো কখনো। মিষ্টি স্বাদ মিললেও এই ধরনের খাবার খেলে ক্যালোরি বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
‘নো অ্যাডেড সুগার’
বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেটে লেখা থাকে ‘নো অ্যাডেড সুগার’। আমেরিকার দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ বলছে, ইংরেজি এই শব্দবন্ধের মাধ্যমে বোঝানো হয় খাবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয়নি। তবে কি তা শর্করাহীন? তা কিন্তু নয়। খাবারের নিজস্ব শর্করা থাকেই তাতে। সেই স্বাদ মিলবে। যেমন কোনো বাদাম, শুকনো ফল দেওয়া বার- তার গায়ে এটি লেখা থাকলে বুঝতে হবে, অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয়নি। তবে খাবারে কিশমিশ, খেজুর ব্যবহার হলে তার মিষ্টত্ব থাকবে।
কোনটি স্বাস্থ্যকর: সুগার ফ্রি নাকি নো অ্যাডেড সুগার?
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সুগার ফ্রি এবং নো অ্যাডেড সুগার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? সত্যি বলতে, উভয় পণ্যই আপনার ডায়েটে থাকতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে সুগার ফ্রি পণ্য খাওয়া ঠিক নয়। এটি শরীরে কৃত্রিম মিষ্টির ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে পরবর্তী সময়ে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অন্যদিকে, নো অ্যাডেড সুগার পণ্যগুলো প্রাকৃতিক চিনি ব্যবহার করে এবং এতে কোনো কৃত্রিম উপাদান নেই। এ কারণে, এটি সুগার ফ্রি পণ্যের তুলনায় স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রাকৃতিক চিনির উপস্থিতির কারণে এগুলো অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যদি আপনার লক্ষ্য সুস্থ ও সতেজ থাকা হয়।
আপনি কী ধরনের খাবার বেছে নেবেন তা পুরোপুরি আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও, কিছু পরিমাণ চিনি খাওয়া খারাপ নয়।
অতএব, ‘সুগার ফ্রি’ এবং ‘নো অ্যাডেড সুগার’ খাবারগুলো বুঝে খাওয়া উচিত। এই দুটি লেবেলের মধ্যে পার্থক্য জানা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
সূত্র: এনডিটিভি