স্বাস্থ্য ঠিক রেখেই রমজানে ওজন কমাবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০২:১৩ পিএম
-67c959449e09f.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
রমজান মুসলমানদের জন্য পবিত্র এক মাস। এ মাসে রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য কেবল ধর্মীয় বাধ্যবাধকতাই নয় বরং এর উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।
সেহরি ও ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে রোজা। তাই আপনি চাইলে রমজান মাসকে ইবাদতের পাশাপাশি শারীরিকভাবে সুস্থ ও ফিট হওয়ার মাসেও পরিণত করতে পারেন। তবে তার জন্য সবচেয়ে জরুরি সুষম খাদ্য এবং একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন বজায় রাখা।
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ
রমজানে ওজন কমার অন্যতম প্রধান কারণ প্রতিদিনের খাবারে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা। আদর্শভাবে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ১২০০ থেকে ২০০০ ক্যালোরি খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বি এড়িয়ে পুষ্টিকর খাবার বেছে নিলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে ক্ষুধা চরমে ওঠে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে ভাজা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে ফাইবার সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেছে নিলে তা ভালো কাজে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করতে এটি সহায়তা করে। এক্ষেত্রে ইফতারের তালিকায় গ্রিলড চিকেন, মসুর ডাল, শাকসবজি, খেজুর এবং দানাদার শস্যের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা যেতে পারে।
সেহরিতে স্মার্ট খাবার
আপনাকে সারাদিন এনার্জি এবং পূর্ণ রাখতে সেহরি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে ওটস, দই, দুধ, খেজুর এবং বার্লি পোরিজ খাওয়া ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
হাইড্রেটেড থাকুন
ইফতার এবং সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করা পানিশূন্যতা প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। এক্ষেত্রে একটি সাধারণ নিয়ম হল আপনার শরীরের ওজনের অর্ধেক আউন্স পানি খাওয়া (যেমন, একজন ৬০ কেজি ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি পান করা উচিত)।
হালকা ব্যায়াম করা
যদিও সারাদিন উপবাস থাকার ফলে শরীরে শক্তির মাত্রা কমে আসে। তবুও নিজেকে ফিট রাখতে হালকা ব্যায়াম জরুরি। প্রতিদিন ১৫-২৫ মিনিট হালকা ক্রিয়াকলাপ যেমন হাঁটা বা ঘরের কাজগুলি ফিটনেস বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে। ব্যায়ামের জন্য সর্বোত্তম সময় ইফতারের পরে, কারণ আপনি সঠিকভাবে রিহাইড্রেট করতে পারেন।
রমজানের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া
নিজের শারীরিক পরিবর্তন নিশ্চিত করতে, রমজানের কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে চিনিযুক্ত, নোনতা এবং ভাজা খাবার কমানো শুরু করুন। কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলা এবং পানি খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা স্বাস্থ্যকর রমজানের খাদ্যের সাথে সামঞ্জস্য করা সহজ করে তুলতে পারে। এসব মেনে চললে রমজানে শরীরের ওজন কমে আরও সতেজ ও এনার্জিটিক হয়ে ওঠতে পারেন আপনি।