Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

থাইরয়েড রোগীরা যেসব খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলবেন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

থাইরয়েড রোগীরা যেসব খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলবেন

দেশের কম বেশি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। রেহাই মেলে না তরুণ তরুণীদেরও। এ রোগে আক্রান্ত হলে খাবারের বিষয়ে অতিমাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে। এমন কিছু খাবার আছে ভুলেও মুখে তোলা যাবে না। থাইরয়েড রোগীরা এ খাবারগুলো খেলে শরীর খারাপ হতে থাকে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থাইরয়েড এমন রোগ, যার তেমন সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এছাড়া সতর্কতার সঙ্গে পুষ্টি সম্মত খাবার খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কোন কোন খাবার খেলে থাইরয়েড রোগীরা সমস্যায় পড়তে পারেন; জেনে রাখা ভালো। 

সয়াবিন 

সয়াবিন থাইরয়েড রোগীদের একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সয়াবিনে ফাইটোস্ট্রোজেন, জেনিস্টাইন থাকে। যা থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শরীরে আয়োডিনের ঘাটতিরও সৃষ্টি করে। তবে অল্প পরিমাণে সয়াবিন খেতে পারেন। তবে তা যেন পরিমাণে বেশি না হয়। 

যেসব সবজি এড়িয়ে চলবেন

গয়ট্রোজেন হল এক ধরনের রাসায়নিক। যা থাইরয়েড গ্রন্থির আকার বাড়াতে সাহায্য করে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বাড়াতেও সাহায্য করে। সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি (ব্রুকলি, বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু, মূলো এগুলি) থাইরয়েড রোগীদের খাওয়া একদমই ভালো নয়। তবে খেতে পারেন অল্প পরিমাণে খাবেন। 

দানাদার জাতীয় খাবার

থাইরয়েড রোগীদের দানাদার জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে অন্ত্রের সমস্যা হয়। যেমন- গম, বার্লি, রাই শাকের মতো শস্য একদমই মুখে তুলবেন না। এতে থাইরয়েড সমস্যা বাড়বে। 

চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার

চিনি বা চিনি মিশ্রিত বেশি খাবার একদমই খাবেন না থাইরয়েড রোগীরা। যেমন বার্গার, পিৎজা এগুলি না খাওয়াই ভালো। এতে হরমোনের ভারসাম্য দেখা দিতে পারে। এসব খাবারের পরিবর্তে তাজা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য খেতে পারেন। 

অ্যালকোহল

ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস খুবই কম খাওয়া দরকার। এ খাবারে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়বে। শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকবে। থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। এর পরিবর্তে ভেষজ কিংবা তাজা ফলের রস খেতে পারেন। 

মদ কিন্তু ভুলেও খাবেন না। যদি আপনি অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত থাকেন কিংবা আপনার থাইরয়েড রোগ থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম